বাংলাদেশে প্রতিদিন ২৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং এদের মধ্যে ১০ ধর্ষিত হচ্ছেন। আর যৌতুকের কারণে স্বামী বা তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে বছরে দুইশ থেকে আড়াইশ নারী নিহত হচ্ছেন। যৌতুক, যৌন নির্যাতন ও যৌন উত্তেজক ওষুধের ব্যবহারের ফলে দেশে নারী নির্যাতনের এই মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা তথ্য অফিসে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গনমাধ্যমের ভুমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় এই তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
সাবেক জেলা তথ্য অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাবেক সচিব আবু বক্কর, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রমা রানী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন বতৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর।
কর্মশালায় মহিলা পরিষদ, জাতীয় পত্রিকা ও দেশের মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বৃতি দিয়ে তথ্য দেওয়া হয় যে, ২০১১ সালের ৯ মাসে যৌতুক দিতে না পারায় দেশে ২৬৮ জন নারী নিহত ও নির্যাতিত হয়েছেন ২০১ জন। একই কারণে ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে দেশে ৬০ হাজার নারী নির্যাতনের শিকার হন। এর মধ্যে ১৭৯৮ জন নারী নিহত হয় বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক রমা রানী রায় কর্মশালায় বলেন, গনমাধ্যম তথা সাংবাদিকরাই কেবল পারেন নারী নির্যাতন রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে। কর্মশালায় ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডয়ার ৩০ জন সাংবাদিক অংশ গ্রহন করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ