মিয়ানমার গণতন্ত্রের পথে ফিরে যেতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু কি। সূত্র: বিবিসি অনলাইন।

শুক্রবার সকালে মিয়ানমার সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাথে বৈঠক শেষে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এ ব্যক্তিত্ব।

দেশটির গণতান্ত্রিক সংস্কারকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংস্কারের ফলে তার দল দেশটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছে। তবে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি প্রদানসহ এখনো আরো অনেক কিছু করার বাকি আছে।

প্রসঙ্গত, হিলারিই প্রথম কোন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি গত ৫০ বছরের মধ্যে মিয়ানমার সফর করছেন। এরআগে ১৯৫৫ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালেস সর্বশেষ মিয়ানমার সফর করেন।

গণতান্ত্রিক সংস্কারে দুদেশকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সু কি বলেন, ‘আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা একসাথে কাজ করলে গণতান্ত্রিক যাত্রার এ পথ থেকে ফিরে আসতে হবে না।’

৩০ নভেম্বর ঐতিহাসিক সফরে মিয়ানমার পৌঁছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারে গতিশীলতা আনয়ন এবং দেশটির নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের অংশ হিসেবে হিলারি এ সফর করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন হিলারি। এরপর আজ বিরোধীদলীয় নেতা সু কি’র সাথে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

দেশটির জান্তা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে গণতান্ত্রিক সংস্কার অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান হিলারি ক্লিনটন। বিনিময়ে দেশটির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণ করলে দেশটির সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সম্প্রতি মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ডেস্ক নিউজ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here