ষ্টাফ রিপোর্টার :: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, দেশে দারিদ্র্যের হার আস্তে আস্তে কমে আসছে। এখন মানব সম্পদকে আরো দক্ষ করে তুলতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সরকারের ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচী অবদান রাখছে। দারিদ্র্য বিমোচন তথা এসডিজির লক্ষ অর্জনে আগামীতে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচী আরো সম্প্রসারণ করা হবে।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে “দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রাপ্ত মা’দের জন্য ‘স্বপ্ন প্যাকেজ” কর্মসূচীর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সরকার ২০১৬–১৭ অর্থ বছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দরিদ্র মাদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ভোগীর সংখ্যা ৯০শতাংশ বাড়িয়ে ৫ লাখে উন্নীত করেছে। এই ভাতা কেন্দ্রীক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচীর মনিটরিংকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গীরও পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবারে নারীর সম্মান বাড়াতে হবে। সমাজে নারীদেরকে আরো দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারী সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সম্মান আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাদেরকে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে, সততার সাথে আগামী দিনে কাজ করে যেতে হবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এনডিসি, ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচীর প্রকল্প পরিচালক পারভীন সুলতানা, স্বপ্ন প্যাকেজ মডেলের উদ্ভাবক ও ডর্প এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান, উলিপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা আক্তার, কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে স্বপ্ন প্যাকেজ মডেলের উদ্ভাবক ও ডর্প এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান বলেন, পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে এক মা–এক লক্ষ টাকা করে বছরে ৫ লাখ মায়ের জন্য, বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা করে এক প্রজন্ম ২০ বছর মেয়াদে কমবেশি ১ কোটি মাকে এর আওতায় আনা হলে দেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বসত ঘর ও কর্মসংস্থানহীন দরিদ্র কোন পরিবার থাকবে না। দারিদ্র্য বিমোচনে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, পাঁচটি ভিত্তি সম্বলিত সোস্যাল এসিসট্যান্স প্রোগ্রাম ফর নন–এ্যাসেটার্স (স্বপ্ন) প্যাকেজ কর্মসূচী ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর দেশের সাতটি বিভাগের ১০টি উপজেলায় পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করছে। বেসরকারী সংস্থা ডরপ এ কাজের সমন্বয় ও সহযোগিতার দায়িত্ব পালন করছে।