শালদুধে অামার মুখ
– স্বপন রেজা
মুক্ত অাকাশ অামার। মুক্ত হাওয়া অামার। মুক্ত
মাটি অামার। মুক্ত জল অামার। মুক্ত মেঘরাশি অামার।
মুক্ত পাখি অামার। মুক্ত কথা অামার।
মুক্ত গান অামার। মুক্ত প্রান অামার।।
এই ঝর্ণা অামার। এই নদী অামার।
এই গাছ অামার। এই ফুল অামার।
এই গ্রাম অামার। পার্বণী গ্রাম।
এই গ্রাম অামার। বিশুদ্ধ গ্রাম।
এই নগর অামার। সভ্যতার নগর।
এই নগর অামার। অালোর নগর।
তোমরা যেইভাবে হাঁটো সেইভাবে অামি হাঁটি না। তোমরা যেইভাবে চলো সেইভাবে অামি চলি না।
তোমাদের ম্যানহোলে জমানো
শিশির বিন্দুুর মতো মুখরোচক ধর্ম ও ধর্মান্ধতায়
স্নান করি না।
কিংবা গোপন
কুঠুরির জমিনে ভাতের বলক
দেখি না।
অামি তো উঠে এসেছি জরায়ু ভেতর।
অামি তো জ্বলে উঠেছি ধুপরতির গন্ধ ভেতর। অামি তো কোন অাগন্তক নই।
জ্বালামুখ অামার। হিমালয় থেকে ঊদগীরন অামার।
জ্বালামুখ অামার। গাঙ্গেয় থেকে ঊদগীরন অামার।।
ভাষা অামার
দ্রাবিড় ভাষা। বাংলা
ভাষা।
অামি তো জেনেছি অামাকে।
অামি তো চিনেছি অামাকে। অামি তো বুঝেছি অামাকে।
অামি তো মেখেছি অামার গৌড়ের রঙ।
অামি তো এঁকেছি অামার গৌড়ের রঙ।
অামি তো মেখেছি অামার
পূন্ড্রের রঙ। অামি তো এঁকেছি অামার
পূন্ড্রের রঙ।
অামি তো মেখেছি অামার হরিকেলের রঙ।
অামি তো এঁকেছি অামার হরিকেলের রঙ।
অামি তো মেখেছি অামার
সমতটের রঙ। অামি তো এঁকেছি অামার
সমতটের রঙ।
যতোদূর যাই। হেঁটে যাই-
অামার পথে। চিরচেনা পথে। মহাকালের
পথে।
ভাষা অামার।
দ্রাবিড় ভাষা। বাংলা
ভাষা।
অনাহারী মুখ
অামার- শালদুধ পান করে
যায়।