জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: সৗদি আরবে অগ্নিকান্ডে নিহত লক্ষ্মীপুরের দুই সহোদর জসিম উদ্দিন ও মো. ইব্রাহিমের বাড়ীতে এখন চলছে শোকের মাতম। পরিবারের অভাব মেটাতে ধার দেনা করে বিদেশ ফাঁড়ি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তারা। দ্রুত লাশগুলো ফেরতের দাবী জানান স্বজন ও এলাকাবাসী। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছেন পরিবারটি।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের আল হোলাইফা শহরে অগ্নিকান্ডে নিহত হন স’ানীয় নেছার আহমদের দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহীম।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকায় তাদের বাড়ী। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার সকালে জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহীমের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় চলছে শোকের মাতম। পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করছেন তাদের বাড়ীতে। কেউ সমবেদনা জানাচ্ছেন কেউবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে।
নিহতদের মায়ের আহাজারীতে আকাশ বাতাস বারী হয়ে উঠছে। বিলাপ করছেন অনেক স্বপ্ন ছিল কিন’ সব শেষ হয়ে গেলো। এখন কি হবে, কে দেখবে তাদের এমন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা।
স্থানীয়রা জানায়, এক যুগ আগে বাবা নেছার আহমদ সৌদি আরবে যান। পরে ৪ বছর আগে তার বড় ছেলে জসিম উদ্দিনকে ও দুই বছর আগে ছোট ছেলে ইব্রাহিম হোসেনকেও ধার দেনা করে সৌদি আরবে নিয়ে যান নেছার আহমদ।
বর্তমানে ১৫ লাখ টাকার মতো দেনা রয়েছে পরিবারটি। বাবা ও দুই ছেলে অন্যদের সঙ্গে এক সাথে থাকতেন সৌদিতে। সৌদি আরবের আল হোলাইফা শহরে লেপ তোষকের ব্যবসা করতেন তারা। ঘটনার সময় বাবা রুমে না থাকায় তিনি প্রাণে বাঁচলেও অন্যদের মতো তার দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহীম দ্বগ্ধ হয়ে মারা যান।
নিহতদের মা রৌশন আক্তার জানান, সুন্দরভাবে চলছিল তাদের সংসার। গত তিন মাস আগে জসিম উদ্দিন ছুটি নিয়ে দেশে এসে বিবাহ করে আবার চলে যান কর্মস’লে। দ্রুত সন্তানের লাশ ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।