স্টাফ রিপোর্টার :: ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতার শিকার সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তারানা হালিম এ তথ্য জানান।
পূর্ণিমার সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে তারানা হালিম লিখেন, “মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামাতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। হ্যা, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত আমি পূর্ণিমাকে আমার ‘পার্সোনাল অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দিলাম। পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম… শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা।”
২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ১৪ বছরের কিশোরী পূর্ণিমা রানী শীল। ধর্ষণ ও নির্যাতনের ওই ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন পূর্ণিমা। ঘটনার ১০ বছর পর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন জমার পর ২০১১ সালের মে মাসে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ পূর্ণিমাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেষ্টা করেছেন পূর্ণিমা।