এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সারাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত-সুরক্ষার পাশপাশি ২টি প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার ও ভারত সংলগ্ন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে সুরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় স্বার্থান্বেষীদের অপপ্রচার ও নানাভাবে বাধা প্রদান সত্বেও স্থানীয় সচেতন নাগরিক তথা দেশপ্রেমিকদের আন্তরিক সহায়তায় বিজিবি দেশের সীমান্ত এলাকাসমুহকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুনিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
পাবত্য জেলা বান্দরবান, রাংগামাটি ও খাড়ড়াছড়িতে ইতিমধ্যেই বিজিবির ৪টি নতুন ব্যাটালিয়ন নির্মিত হয়েছে। প্রয়োজনীয ভমিসবিধা পাওয়া সাপেক্ষে এসব ব্যাটলিয়নের দায়িত্বপুর্ণ এলাকাসমুহে প্রযোজন সংখ্যক বিওপি নির্মিত হবে খুবই শিগগিরই। মাদক পাচার, অস্ত্রচোরাচালান, ইয়াবা চোরাচালান ও বর্ডারক্রসিং রোধে বিজিবি পার্বত্যাঞ্চলসহ সারাদেশেই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে এসব অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে বিজিবির চলমান অভিযান ক্রমেই জোরদার হওয়ায় সীমান্ত এলাকাসমুহে অপরাধ প্রবণতা কমে আসছে।
মংগলবার বিকেলে বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটর দুরে সদর উপজেলার খানসামা পাড়া এলাকায় বিজিবির নবসৃজিত বান্দরবান সেক্টর সদরদপ্তরের ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এ প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে একান্ত আলাপকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বিজিবির ব্যাটালিয়ন বা সেক্টর সদরদপ্তর স্থাপিত হলে কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়, পুরো এলাকাজুড়েই শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক সমপ্রসারণ এবং উন্নয়ন ঘটে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করছে বিজিবি, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই সীমান্ত অপরাধ কমে আসবে।