সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে সরকারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভূমি অফিসের তহশীলদার ও স্থানীয় দালাল চক্র সিন্ডিকেট এক প্রায় ৩ হাজার আয়তনের শতাধিক পুকুরের ইজারা মূল্য কম দেখিয়ে মাছ ধরে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান সহকারী তহশীলদার মুস্তাগিরকে সিরাজগঞ্জের চরগিরিশে বদলী করার পর  পুনরায় বদলী অর্ডার করে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন অফিসে জয়েন্ট করে পুরো উপজেলার পুকুর ইজারার অর্থ আদায়ের দায়িত্ব পালন করছে। মঙ্গলবার মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাদাশ গ্রামের ১৮ বিঘা আয়তনের মাত্র ১০ হাজার টাকা ইজারা দেখিয়ে মাছ ধরলেন ভাদাস গ্রামের আফসার আলী। সরেজমিনে ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়,  গত ২০ জানুয়ারী গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডডেশনের সাথে সরকারী চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া ৫১৫টি পুকুরের মধ্যে শতাধিক পুকুর উপজেলার আওয়ামীলীগের এক নেতা ও তাড়াশ সদরের সাবেক ও বর্তমান নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মুস্তাগিরের সিন্ডিকেট মাছ বিক্রি করে কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত একমাসে পূর্বে নওগাঁর মথুরাদিঘি পুকুরটির বার্ষিক ইজারা ৪ লক্ষাধিক টাকা হলেও মাত্র ১০ হাজার, তালম ইউনিয়নের গুল্টাপুকুর ১০ হাজার, নামাকলামূলা পুকুর ১০ হাজার, মাধাইনগরের বিলাসপুরের পুকুর ৫ হাজার, ভাদাসের ঝিনাইগাঁতী ও গোরস্থান পুকুর হাজার টাকাসহ শতাধিক পুকুরের ইজারা মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র। ভাদাস গ্রামের সাইদুর জানান, ২২ বিঘা আয়তনের পুকুরটির ইজারা মূল্য ৩ লক্ষ টাকা হলে ও মাহবুব নায়েব ৫ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে নিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ করলে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে ভাদাসের সাইদুর তালমের রহিমসহ এলাকাবাসীরা জানান। এ ব্যাপারে মাধাইনগরের মাহবুব আলম নায়েব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, যারা পুকুরের অবৈধভাবে মাছ চাষ করেছে তাদেরকে মাছ ধরার জন্য সুযোগ দিতে কম মূল্যে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মুস্তাগির আহমেদ মোস্তাক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার বলেন, তিনি ইজারা সাথে জড়িত নন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সুজন সরকার/সিরাজগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here