সিম নিবন্ধনে অনিয়ম: গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতেআব্দুল কাদের জিলানী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :: সারা দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর সিম নিবন্ধন করা বাধ্যতা মুলক করা হয়েছে। আর সিম নিবন্ধন বাধ্যতামুলক করার পর এর রিটেইলররা গ্রাহকদের কাছ থেকে সুযোগ বুঝে ফায়দা লুটতে শুরু করেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় সবখানেই গ্রাহকদের টাকা দিয়ে সিম নিবন্ধন করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। অনেক গ্রাহক সিম নিবন্ধন না করেই বাড়ি ফিরছেন। এতে সরকারের মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন গ্রাহকরা। এতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে সিম নিবন্ধন করতে আসা হাজারো গ্রাহকদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ক্ষোভ।

জানা যায় যে, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে এক যোগে বাংলাদেশের সকল মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিম নিবন্ধনের কাজ শুরু করে। এরই আলোকে বিভিন্ন উপজেলায় কোম্পানির সিম নিবন্ধনের কাজ শুরু না করলেও গত ১৭ জানুয়ারি থেকে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক কোম্পানির সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করে।

প্রথম কয়েক দিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির অনুমোদিত রিটেইলাররা সিম নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা না নিলেও বর্তমানে গ্রামীণফোন মোবাইল কোম্পানির অনুমোদিত রিটেইলররা কোম্পানির নির্ধারিত কমিশন পাওয়া সত্তেও সিম নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন টাকা।

সরকার অবৈধ সিম ব্যবহার ও নানা অপরাধ দমনের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বৃদ্ধা আগুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে। অথচ এ মহতী উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করছে রিটেইলররা। তারা নিবন্ধনের নামে প্রতিটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে সুযোগ বুঝে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। ফলে সিম নিবন্ধন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। বিটিআরসি’র জারিকৃত নির্দেশনায় কোন মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা বা নিবন্ধন ফি নিতে পারবে না। এমন নির্দেশনা থাকলেও গ্রাহকদের নিকট থেকে দোকানীরা বাড়তি টাকা নিচ্ছে।

সিম নিবন্ধন করতে আশা কয়েজন গ্রাহক জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালিতলা বাজার গড়েয়া রোডে অবস্থিত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য অনুমোদিত রিটেইলারের কাছে গ্রামীণ ফোন সিম নিবন্ধনের জন্য গেলে তাদের কাছ থেকে প্রতিটি সিমের জন্য ১০ টাকা করে দাবি করা হয়। তারা দোকানীর সাথে বাকবিতন্ডা করে ফিরে যান।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীনফোন রিটেইলাররা সিম নিবন্ধনের জন্য যে যার ইচ্ছেমত গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছে টাকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিম নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের সময় বেধে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার রিটেইলররা এধরনের অনিয়ম বেশি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। রিটেইলররা বলছেন বেশি সিম নিবন্ধন করতে হচ্ছে তাই প্রারিশ্রমিক হিসাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে সামান্য টাকা নেয়া হচ্ছে।

এছাড়াও দোকানে একজন কর্মচারি রাখা হয়েছে শুধু সিম নিবন্ধনের জন্য। তার বেতনের জন্য এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন।

এ ব্যাপারে গ্রামীন ফোন হেল্প লাইন ১২১ নম্বরে ফোন করা হলে একজন কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি জানান, আমাদের গ্রামীণ ফোন কোম্পানি থেকে সিম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কোন প্রকার টাকা নেয়ার কথা বলা হয়নি। তবে কোন রিটেইলর যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি অবশ্যই ব্যবস্থ্ গ্রহণ করবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here