বান্দরবান : বিরোধী দলের টানা ১৭দিনের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচির কারণে কার্যত পাহাড়ি জেলা শহর বান্দরবান পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সারাদেশ থেকে।

বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের নানাস্থানে বিশেষ করে রেইছা,মাঝেরপাড়া,সুয়ালক,হলদিয়া, বাজালিয়া ও কেরানিহাট এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শত শত গাছকেটে রাসত্মায় ব্যারিকেড সৃষ্টিকরায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে প্রায় ১৭দিন ধরেই। ফলে জীবনরক্ষাকারী ওষুধপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ বন্ধ থাকায় কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে জেলা শহরে গত ১৫দিন ধরে। অন্যান্য জিনিসপত্রও বেশিদামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দ্রব্যসামগীর কৃত্রিম সংকট চলছে। এসময় এসড়কে ছোট-বড় অর্ধশত যানবাহন ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের নানাস্থানে অবৈধ অস্ত্রসহ দা-কিরিচ ও লাঠি-সোটা হাতে বিপুল সংখ্যক পিকেটার দিনরাত সক্রিয় থাকায় অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। তবে শুক্রবার সকাল থেকে প্রধানসড়ক থেকে গাছের গুড়ি সরানোর কাজ করছে বিজিবি,পুলিশ ও সাধারণ জনতা।

জানা গেছে, বিরোধী দলের পিকেটাররা বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কথায় কথায় সহিংস কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এ সড়কপথে। কেরানিহাট থেকে সুয়ালক এলাকা পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়েই গেরিলা হামলা, সন্ত্রাস ও সহিংস ঘটনা দিব্যি চালিয়ে গেলেও সরকারি মহল থেকে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় তেমন একটা উদ্যোগ এখনও নেয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। এসব কারণে শুক্রবারও নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি।

এনামুল হক কাশেমী/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here