বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের রায় ফাঁস মামলার রায় আগামী ১৪ আগস্ট দেয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার দু’পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
এছাড়া এদিন শুনানিতে হাজির না থাকায় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক। সেইসঙ্গে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ছাড়া জামিনে থাকা বাকি ৪ জন আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরা হলেন- ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেন। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান শুরু থেকেই পলাতক।
এদিকে মামলার আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ডিবি পরিচয়ে আদালত থেকে আটকের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বংশাল থানার সামনে থেকে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী চৌধুরী মো. গালিব রাকিব।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সাকার স্ত্রী, ছেলে ও আইনজীবীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।