sakaষ্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা :: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে বাংলাদেশের হাইকোর্টের বর্তমান একজন বিচারপতি ও তাঁর মা সাফাই সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন।

এ ছাড়া এ সাক্ষী-তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ চার নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক কূটনীতিক।

আজ সোমবার সাক্ষীদের পক্ষে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম আল-ফেসানী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম আল-ফেসানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিভিউর শুনানির আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি সাফাই সাক্ষী দেওয়ার আবেদন করেছেন।

সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি ইচ্ছে করলে নিজস্ব ক্ষমতাবলে এ বিষয়ে শুনানি করতে পারবেন।’

সাফাই সাক্ষীরা হলেন বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও তাঁর মা জিন্নাত আরা বেগম; চার পাকিস্তানি হলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সুমরো, সাবেক রেলমন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানী, ডন গ্রুপের চেয়ারম্যান আম্বার হারুন সায়গল, মুনিব আর্জমান্দ খান এবং ফিজিতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিকী।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে তাঁকে ওই শাস্তি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া তিনটি অভিযোগে তাঁকে ২০ বছরের ও দুটি অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর নিয়ম অনুযায়ী সাকা চৌধুরীও রায়ের বিরুদ্ধে যান আপিল বিভাগে। তবে সেখানেও তাঁর সর্বোচ্চ সাজার রায়ই বহাল থাকে।

৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের সঙ্গে তাঁরও মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি একসঙ্গে আসে ট্রাইব্যুনালে।

এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন সাকা চৌধুরী।  এটা খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করতে হবে সাকা চৌধুরীকে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here