বাংলা প্রেস, নিউইয়ক থেকে: দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় হার্ভার্ড স্কোয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে বোস্টন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় ঘাতিক দালাল নির্মুল কমিটি আয়োজিত উক্ত সমাবেশে বক্তারা সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস’র।
বক্তারা বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয়জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাংচুর ১৫০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও সর্বোচ্চ শাস্তি হয়নি। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও তার শাস্তি কমিয়ে দেওয়া যথাযথ হয়নি।
মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে সে অন্যতম বড় হোতা তার বিরুদ্ধে প্রদেয় রায় কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না। উচ্চ আদালতের আইনে রিভিউ –এর সুযোগ রয়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বোস্টনস্থ নিউইংল্যান্ড ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক নঈম চৌধুরী পিন্টু ও উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ড. বামন দাস বসু, নিউইংল্যান্ড আওয়ামীগের সভাপতি ওসমান গণি, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও আ.নেতা জাহিদ ওসমানী মামুন, আ.নেতা বিশ্বজিৎ সাহা, নিশা রহমান, সিন্থিয়া মামুন ও নিউইংল্যান্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারিদা আরভী প্রমুখ।
গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত অনলাইনে প্রথম বিশ্বব্যাপী জাহানারা অনলাইনে ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সভায় নিউইয়র্ক থেকে অংশ নেন নিউইয়র্ক ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির নির্বাহী সদস্য ফাহিম রেজা নুর, স্বীকৃতি বড়ুয়া, বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন ডা. নুযহাত চৌধুরী, তৌহিদ রেজা নুর, টরেন্টো থেকে অংশ নেন জামাত মুক্ত গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা হাসান মাহমুদ এবং সুইডেন থেকে অংশ নেন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির খান।
এ অনলাইন সভায় ৩ জন শহীদ পরিবারের সন্তান যথাক্রমে ডা. নুযহাত চৌধুরী, ফাহিম রেজা নুর ও তৌহিদ রেজা নুর অংশ গ্রহন করেন।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের গণ আদালতের অবদান, বাংলাদেশের ক্রাইম ট্রাইবুলানের বর্তমান অবস্থা, জামাত শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধী সকল সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করন, প্রজন্ম একাত্তর ও গণ জাগরন মঞ্চের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন, রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার ও বিদেশে আন্দোলনরত স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির পরবর্তী কর্মকান্ড প্রসঙ্গে বিষদ আলোচনা করা হয়।