ষ্টাফ রিপোর্টারঃঃ  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উত্থাপিত দাবি যৌক্তিক বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একথা জানান। এসময় তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৯, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেখানে তাদের দাবিগুলোও তুলে ধরবেন তারা।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, যুগান্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল আলম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সেই ধারার বিষয়বস্তুগুলো ঘুরেফিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাখা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর এটি ঘিরে বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আপত্তি ওঠা কিছু ধারা বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।

কিন্তু গত ৯ এপ্রিল সোমবার জাতীয় সংসদে আইনটি উত্থাপনের পর দেখা যায়, তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এমনকি ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি-বিষয়ক ৩২ ধারার মতো আরও কঠিন একটি ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিলটিতে আপত্তি জানিয়েছে। পরে বিলটি চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here