সমকামী বিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ বিয়ে স্বীকৃতি পেলে সমকামীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে বলেই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাসাচ্যুসেটস অঙ্গরাজ্যে সমকামী বিয়ে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সমকামী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার হার উল্লে¬খযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।

‘আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথ’ নামক গবেষণা সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। ২০০৩ সালে ম্যাসাচ্যুসেটসসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৬ টি অঙ্গরাজ্যে সমকামী বিয়ে আইনগত বৈধতা পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমকামী পুরুষরা বিয়ে করলে হাসিখুশী সম্পর্ক উপভোগ করতে পারে। আর প্রফুল্লতার সঙ্গে স্বাস্থ্যের যোগ আছে বৈকি! কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইলমাম স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ১ হাজার ২১১ পুরুষ সমকামীর শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে তারা ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। নারী সমকামীরা (লেজবিয়ান) এ গবেষণার আওতাভুক্ত নয়।

প্রধান গবেষক ড. মার্ক হাতজেনবুয়েলার বলেন, “সামাজিক সীমাবদ্ধতাগলো দূর করে সমকামী ও উভয়কামী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যন্নোয়ন ঘটানো সম্ভব।” গবেষণায় দেখা গেছে, সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়া পর তাদের ক্লিনিকে যাওয়ার হার ১৩ শতাংশ কমেছে।

বিয়ের কারণে মানসিক চাপ কমার ফলে কমে যায় রক্তচাপ, বিষন্নতা এমনকি একজনের সঙ্গে অন্যজনের মানিয়ে চলার ক্ষেত্রে জটিলতার মতো নানা সমস্যা। আর সে কারণেই গবেষক মার্ক বলেছেন, “মানসিক চাপের কারণে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তা কমিয়ে সমকামী বিয়ে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অনেকটাই সহায়ক হতে পারে।”

সমকামীদের ওপর পরিচালিত পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, অন্যদের তুলনায় এদের বিষণœতায় ভোগা এবং আত্মহত্যা করার প্রবণতাও বেশি থাকে- যার অন্যতম একটি কারণ সামাজিক স্বীকৃতি না পাওয়া।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here