leadersইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: আপনার চেয়ে যারা বেশি স্মার্ট, তাদের কথা-বার্তা, চিন্তা-ভাবনা আর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার আইকিউ বাড়বে। আবার বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর চেয়ে ওই সব মানুষের কাছ থেকে জীবনমুখী শিক্ষা নিতে পারলে তা আরো মূল্যবান হয়ে থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আরো স্মার্ট হয়ে ওঠার জন্যে দুটো বিষয়কে মৌলিক শিক্ষা হিসাবে চিন্তা করুন।

১. সকালে ঘুম থেকে স্মার্টলি ওঠার চেয়ে আরো বেশি স্মার্টলি ঘুমানোর জন্যে বিছানায় যান।

২. আমি নতুন কিছু চিন্তা করে বের করার মতো স্মার্ট নই। কিন্তু তা চিন্তা করে বের করা হয়েছে, তাদের সবচেয়ে সেরা অংশটি খুঁজে বের করতে হবে। জ্ঞান অর্জন করা কঠিন বিষয়। সুষ্ঠু উপায়ে চিন্তা করার পদ্ধতি বের করা কঠিন। তাই সবাই অন্য কারো কাছ থেকে ভালো বুদ্ধি পেতে চায়। তবে নিজের বুদ্ধিতে সিদ্ধান্ত নিতে হলে কিছু উপায় তো জানতেই হবে।

কিভাবে চিন্তা করবেন? : যেকোনো বিষয় সম্পর্কে নিজে নিজে কিছুটা বুঝতে হলে এর পেছনে ‘কেন?’ শব্দটি দিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। প্রশ্নের জবাব খুঁজতে এগিয়ে যেতে থাকুন। যাদের এর সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তাদের কাছে যান এবং পরামর্শ নিতে থাকুন। আলোচনা চালিয়ে যান, নতুন তথ্য খুঁজে বের করুন এবং আলোচনার শেষ টানুন সমাধান দিয়ে।

যেকোনো কাজ সম্পর্কে না জানলে প্রশ্ন করুন, কাজটি কিভাবে করা যায় বা করতে হয়?

যাই শিখছেন, তা স্মৃতিতে ধরে রাখা, একে বিশ্লেষণ করা এবং নানা কাজে এর প্রয়োগে ব্যবস্থা করুন। জ্ঞানার্জনকে বেশ কঠিন কোনো কাজ বলে মনে হতে পারে। তবে জীবনের নানা কাজে কিছু জ্ঞানের জন্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সমাজবিজ্ঞান নিয়ে সামান্য পড়াশোনা করুন। এ সব শিক্ষা আপনার জ্ঞানের একটি কাঠামো তৈরি করে দেবে। যখন সমস্যা সামনে আসবে তখন এসব শিক্ষা আপনাকে সমাধান খুঁজে দেবে।

এই মানসিক কাঠামো আপনার মস্তিষ্কের ভেতরের বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণাটাকে বের করে আনবে। এই মডেলটি বাস্তবতা নিয়ে আপনার ধারণার প্রতিনিধিত্ব করবে। সমাধান তখনই সবচেয়ে ভালো হবে, যখন সমস্যার সমাধানে মডেলের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সঠিকভাবে কাজ শুরু করবে।

সমস্যার সমাধান সম্পর্কে যে জ্ঞান প্রয়োজন হবে, তা অর্জন করবেন চারপাশের বাস্তবতা থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনাকে যা দেবে, তার চেয়ে বেশি কিছু শেখাবে জীবনমুখী শিক্ষা। অনেক সময় কোনো কাজ করতে গিয়ে হয়তো মনে হবে, এ করা তো প্রায় অসম্ভব। অথচ কাজটি হয়তো তেমন কঠিন নয়। কাজটি সম্পর্কে আপনার মানসিক মডেলটি কিভাবে কাজ করছে তার ওপর নির্ভর করে। মানসিক মডেল যখন বাস্তবতার সঙ্গে খাপা খাওয়াতে পারে না, তখন সমস্যার আসল সমাধান বের করে আনাটা কঠিন হয়ে যায়। আবার পুরোপুরি মিল খেলে বাস্তবিক সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে চায় মন।

তাই কার্যকর মডেল গড়ে তোলার পেছনে মন দিতে হবে। খুব সাদামাটার মাঝে কাজের কিছু খুঁজে বের করার দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে। এ জন্যে প্রচুর পড়ার পেছনে মন দিন। বিশ্বটা সব সময় বদলাচ্ছে। দিন বদলের কারণ ও নানা দিক সম্পর্কে চিন্তা করুন।

খুব ধীরে ধীরে যে বিষয়গুলো বড় পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তার পরিচয় বের করার চেষ্টা করুন। তবে অনেক সমস্যা রয়েছে তা স্রেফ মানসিক মডেল ব্যবহার করে সমাধান আনতে পারবেন না। এ জন্যে বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে।

বাস্তবিক অর্থে কোন সমস্যা কি উপায়ে দূর করা যেতে পারে তা যেমন বুঝতে হবে, তেমনি বুঝতে হবে, আপনার মানসিক মডেল এর পেছনে কতটুকু সহায়তা করতে পারে? এ দুয়ের সমন্বয় আপনাকে করে তুলবে জ্ঞানী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here