আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতনিধি :: সততা স্টোর। এ যেনো সততার পরীক্ষাগার। নতুন প্রজন্মের মধ্যে সততা তৈরীর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে সততা স্টোর। পণ্যের গায়ে নির্ধারিত দাম দেখে ক্যাশ বক্সে টাকা দিয়ে পছন্দের পণ্যটি ক্রয় করে নিয়ে যাবেন ক্রেতা। অথ্যাৎ ওই সততা স্টোরে কোনো বিক্রেতা নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সমুহ স্বল্প মুল্যে দিতে ও তাদের সততা মাধ্যমে জীবন তৈরী করায় সততা স্টোরের প্রধান উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী জি এস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এমন একটি সততা স্টোরের উদ্বোধন করেন ওই উপজেলার ইউএনও আসাদুজ্জামান।
ওই বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট একটি কক্ষে বসানো হয়েছে এ সততা স্টোর। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা চাহিদা মতো পছন্দের পণ্য কিনে নিধারিত মূল্যের টাকা ক্যাশ বক্সে ঢুকে দিবে। আছে ক্রেতা, থাকবে না বিক্রেতা। তবুও বিক্রি হবে পণ্য। তবে এ ব্যবসায় লাভ-লোকসান থেকেই বোঝা যাবে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কতটুকু সততা রয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যবস্থা চালু থাকলেও লালমনিরহাটে এবারই প্রথম সততা স্টোর উদ্বোধন করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে।
আদিতমাারী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, আমি দেখেছি, এটাকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবন গঠনের একটি পরীক্ষা হিসাবে নিয়েছে। তাদের মাঝে এক ধারণের জেদ কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি তারা সততার পরিচয় দিয়ে শতভাগ সফল হবে। আমরা এমন সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন করতে চাই।
আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান শওকাত আরা সিদ্দিকা বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে এনিয়ে একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তারা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছে। কিছু দিন পরেই বুঝা যাবে আমাদের সফলতার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালনায় সততা স্টোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আদিতমারী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সভাপতি মজিবর রহমান, জেলা স্কাউটস ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান শওকাত আরা সিদ্দিকা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আদিতমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরহাদ আলম সুমন।