ঢাকা : প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। ‘দেশপ্রেমিক কর্মচারীবৃন্দ’-এর ব্যানারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ লিফলেট বিতরণ শুরু হয়।

লিফলেটে শেখ হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচার উল্লেখ করে বলা হয়- পাঁচ বছরে এ সরকার দেশকে মেধাশূন্য করেছে। দুর্নীতি, হত্যা, গুম, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার লুট করেছে। পদ্মা সেতুর  স্বপ্ন ধ্বংস করেছে।

লিফলেটে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, তারা লুটপাট ও দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন, কেউ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ পরিবারের লোকজনকে ইতিমধ্যে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাদের চোখে চোখে রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

লিফলেটটির কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো:“সাবধান! সাবধান!

প্রশাসনের কফিনের শেষ পেরেক মারা ‘জনতার মঞ্চ’ খ্যাত স্বাধীনতার শত্রু রাজাকার রিক্রুটমেন্টের হোতা, চরম দুর্নীতিবাজ জ্ঞানপাপী মখা আলমগীরের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার মাধ্যমে গাড়িতে জাতীয়  পতাকা উড়িয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজাকারকে বর্জন করুন, ঘৃণা করুন, প্রতিহত করুন।

“চরম দুর্নীতিবাজ ও বিদেশী প্রভুদের দালাল ও বিশ্বস্ত চর এইচ টি ইমাম প্রশাসনকে মেধাশূন্য করেছে। তাকে দেখলেই বলুন, ‘তুই চোর, তুই চোর। বিদেশী প্রভুর দোসর।’ দেশদ্রোহীকে বর্জন করুন, ঘৃণা করুন, প্রতিহত করুন।

প্রশাসন ধ্বংসকারী সচিব ইকবাল মাহমুদ আখের গুছিয়ে পালিয়েছে। সচিব বিডি মিত্র ভারতে সম্পদের পাহাড় বানিয়ে সপরিবারে আমেরিকায় পালিয়ে গেছে।  লম্পট সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করে পালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। সচিব আবুল কালাম আযাদ সুড়ঙ্গমুখে অবস্থান নিয়ে যাই যাই করছে। আবু আলম শহিদ খান, কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মো. নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, খন্দকার শওকত হোসেনসহ অনেকেই পালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যেকোনো সময়  পালাবে। এরা ছাড়াও দালাল-দুর্নীতিবাজ অনেকেই আমেরিকা, লন্ডন, কানাডায় ভিসা নিয়ে রেখেছে। যে যেখানে আছেন, সবাই এদের সতর্ক পর্যবেক্ষণের রাখুন, যাকে পালিয়ে যেতে না পারে।

আবুলের চুরির জন্য রিমান্ডে যায় জেল খাটে আমাদের চাকরিজীবি সচিব মোশারফ। আবুল হয় দেশপ্রেমিক । পদ্মায় কমিশন খাওয়া টপ দেশপ্রেমিক হাসিনা -রেহনা আবুলের গডমাদার।

শেখ হাসিনার গোলাপি উপদেষ্টা মোদাচ্ছের হলর্মাকের মাধ্যমে লুটে নেয় ট্রেজারির চার হাজার কোটি টাকা। আর ‘মাল মুহিত’ বলে এটা কোনো টাকাই নয়।  বিশেষজ্ঞদের বলছেন, ৩০৯ বছরেও এ ক্ষতি পোষানো যাবে  না।

হাসিনার পুত্র ডিজিটাল জয় ভিওআইপির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। তার পৃথিবী ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। দেশেই এখন নতুন বাসর পেয়েছে। তার আর পালাবার পথ নেই।

বটতলার উকিল সিএমএম আদালতের জামিনের দালাল কামরুল মামলা প্রত্যাহার, কাজি নিয়োগ, সাবরেজিস্ট্রার নিয়োগ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে। সচিবালয়ে তাকে চোখে চোখে রাখুন।

হাসিনা-রেহনার রিক্রুট হাইব্রিড নেতা হানিফ নিটোলের মাতলুবের মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে কানাডায় পাচার করেছে। বৌ-বাচ্চাদের কানাডায় পাঠিয়েছে।  নিজেরও ভিসার টিকেট রেডি। তার সে সার্ পূর্ণ হবে না। তাকে পালাতে দেয়া হবে না।

সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী ভাই-বোনদের কাছে উদাত্ত আহ্বান, ওদের অন্যায় আদেশ প্রতিপালনে অস্বীকার করুন, প্রতিরোধ গড়ুন।

জালিমদের রাজত্বে নিপীড়িত, নির্যাতিত, দুঃসহ দুঃশাসনে অতিষ্ঠ সরকারি কর্মচারীদের বিজয় অনিবার্য।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here