স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকারসঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় সংখ্যালঘু পরিবারের ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়য়া এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সহজে বাড়ি পৌছানোর রাস্তা দেখিয়ে দেখার নাম করে বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ওই ছাত্রীকে একটি খালি ঘরে নিয়ে এক দুর্বৃত্ত ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় আরও এক দুর্বৃত্ত জড়িত রয়েছে। গলাচিপা পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ধর্ষিত শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামে। বোয়ালিয়া বিপিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রী (১২) তার ছোটবোনকে (৭) নানাবাড়ি পৌছে দেয়ার জন্য বুধবার বিকেলে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণকলস গ্রামে যায়। কল্যাণকলস গ্রামের সূর্য মাঝি তার নানা।

ছোট বোনকে নানা বাড়ি পৌছে দিয়ে সে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে কল্যাণকলস গ্রামের আলম গাজীর ছেলে কামরুল গাজী (৩০) ও একই গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে হাছান হাওলাদার (২৩) স্কুল ছাত্রীকে সহজে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর রাস্তা দেখিয়ে দেয়ার নাম করে রাত এগারোটা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।

এক পর্যায়ে কল্যাণ কলস গ্রামের থানা কাউন্সিল সড়কের পাশে ইয়ামিন নামক এক ব্যক্তির খালি ঘরে নিয়ে কামরুল গাজী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় সঙ্গী হাছান হাওলাদার দরজায় পাহাড়ায় থাকে। আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিয়ে এগিয়ে এলে হাছান ও কামরুল স্কুলছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায়।

এলাকার কয়েক প্রভাবশালী ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্কুলছাত্রীকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আটকে রাখে।

বিষয়টি জানতে পেরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল চৌধুরী তাৎক্ষণিক গলাচিপা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক মোলা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলা গ্রহণের প্রস্তুুতি চলছে। ওই স্কুল ছাত্রীর মা-বাবা বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here