শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের ও ভেজাল সার। উপজেলার বিসিআইসি’র ডিলারসহ খুচরা সার বিক্রেতারা এসব বিক্রি করছেন।  প্রতারনা ও ক্ষতিগ্রস্তের শিকার কৃষকরা করেছেন এ অভিযোগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কৃষকদের সুবিধার্থে পৃথক পৃথক সার ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ সার ডিলার আওয়ামী লীগ কর্মী বা সমর্থক। সার ডিলারের পাশাপাশি খুচরা সার বিক্রেতার দোকান প্রায় দেড়শ। উপজেলার সদর বাজার, ঝগড়ারচর, কর্ণঝোড়া, ভায়াডাঙ্গা, শিমুলচুড়া, কুরুয়া, কুড়িকাহনীয়াসহ ২০-২৫ টি বাজারে ওইসব দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ডলোমাইট, জিপসাম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফেট, লবন, সোডিয়াম সালফেটসহ নানা ধরণের ভেজাল সার। এমনকি কিছু কিছু সার বিক্রেতা সারের বস্তা থেকে ক্রেতার অগোচরে এক দুই কেজি করে কম দিয়ে বিক্রি করছেন। সার বিক্রেতাদের নানা প্রলোভনে পড়ে সরল সহজ কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন তাদের সার ক্রয়ে। এতে সার বিক্রেতারা হাতিয়ে নিচ্ছেন চড়া মূল্য।

অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় বিক্রি করছে ভেজাল মিশ্রিত নিম্নমানের সার। এসব সার ব্যবহার করে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি গবেষকদের মতে, সারে মিশ্রিত ধাতব পদার্থ ফসলের জন্য ভয়াবহ হুমকি। এটি মাটি ও পানি দূষিত করে ফসলি গাছের রোগ বালাইয়ে জন্ম দেয়। এতে উৎপাদিত খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, ব্রুণ টিউমার,কিডনি রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্তের আশংকা রয়েছে।

জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে ভেজাল কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে তা নেই। ফলে অবৈধ ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here