ঢাকা :: বাংলাদেশে শিশু অধিকার-বিএসএএফ ৯ নভেম্বর সোমবার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রাউন্ডটেবিল লাউঞ্জে সকালে বাংলাদেশে শিশু অধিকার পরিস্থিতি ২০১৪ ও জানুয়ারী-জুন ২০১৫ প্রতিবেদনের উপর প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন এমরানুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে পরিচালিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য কাজী রিয়াজুল হক এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মি ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, টেরে ডেস হোমস-নেদারল্যান্ডস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবীর এবং ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশের এডভোকেসি সমন্বয়ক সাবিরা সুলতানা নুপুর সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে শিশু অধিকার পরিস্থিতি প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক এ.এস. মাহমুদ।
বাংলাদেশে শিশু অধিকার পরিস্থিতি ২০১৪ এর প্রতিবেদন এর ব্যাপারে ব্যারিষ্টার সারা হোসেন বলেন, এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৪ জুড়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে বলেছে বিয়ের বয়স নুন্যতম ১৮ই থাকবে। কিন্তু আমরা জানিনা আইন পাস হলে “বাবা মা চাইলে ১৬ বছরে বিয়ে দিতে পারবে” এ ধরনের কোন বিশেষ ধারা থাকবে কিনা।
তিনি বিলেন, ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক শিশু মারা গিয়েছে। কিন্তু সে ব্যাপার টা তেমন কোন গুরুত্ব পাচ্ছেনা। সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য শিশু মারা যাচ্ছে কিন্তু দুর্ঘটনাকারীর গ্রেফতার বা সাঁজা হচ্ছে না। এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। উচ্চ আদালত ২০১১ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন কে নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু তারপরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। শিশু ধর্ষণ বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষণকারী শিশুর পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশী। সেক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো কিভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে আমাদের ভেবে দেখতে হবে। ২০১৪ সালে সরকার গুলশান বারিধারা সহ কিছু এলাকায় ভিক্ষুক নিষিদ্ধ করেছে। সাইনবোর্ড এ ক্রস দিয়ে দেখানো হয়েছে এ ধরনের জীর্ণ পোশাক পড়া শিশু বা মানুষ এই এলাকায় নিষিদ্ধ। এতা কোন ভাবেই কাম্য নয়। কারন যে শিশুটি ভিক্ষা করছে সেতো অভাবের তাড়নায় করছে।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, রাজন- রাকিব হত্যায় এনজিও ও সাংবাদিক গন যেভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়েছিল তার ফলশ্রুতিতে দ্রুততম সময়ে রায় পাওয়া গিয়েছে। এই রায় বাংলাদেশে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে। সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানান, শিশু হত্যার ক্ষেত্রে যেন দ্রুত বিচার করা হয়।
টেরে ডেস হোমস-নেদারল্যান্ডস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবীর বলেন, শিশু অধিকার বিষয়ক আইন গুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনৈতিক কাজে শিশুদের ব্যাবহার করা যাবেনা। শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।– প্রেস বিজ্ঞপ্তি