রাজশাহী: রাজশাহীতে পাবলিক পরীক্ষায় নকল প্রবণতা বেড়ে গেছে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন বিভিন্ন স্কুলে অনুষ্ঠিত চলতি জেএসসি পরীক্ষায় নকল প্রবণতা ফের দেখা দেয়ায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।

ইতিমধ্যেই নকল করার দায়ে ৩২জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও একাজে সহযোগীতা করার অপরাধে অব্যহতি দেয়া হয়েছে ১০শিক্ষককে। একই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কেন্দ্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় শিক্ষকদের সহযোগীতায় চলছে নকল। যার ধারাবাহিকতায় গত ১৭নভেম্বর গণিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩২জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর একাজে সহযোগীতা করার অপরাধে অব্যহতি দেয়া হয়েছে ১০জন শিক্ষককে।

জেএসসি‘র গণিত পরীক্ষারদিন বাগমারাস্থ ভবানীগঞ্জ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দেহ তলস্নাসি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল উদ্ধার করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুল ইসলাম। দেশে হঠাৎ করেই পাবলিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রবণতা বেড়ে যাওয়া উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা।

এ ঘটনায় একাধিক শিক্ষাবিদরা জানান, বেশ কয়েক বছরে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগীতায় দেশ থেকে নকল উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছিল। নকলের পরিবেশ দুর করে কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু এবছর জেএসসি পরীক্ষায় নকলের খবর প্রকাশ হয়ে পড়ায় চিন্তিত সচেতন মহল। আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠেছে একাধিক শিক্ষাপ্রষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল গুলোতে ফটোকপি করা অথবা হাতে লেখা প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছে। গত রোববার গণিত ও সমাজ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করতে দেখা গছে পরীক্ষার্থীদেরকে। ফলে অভিভাবাক ও সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। এছাড়া রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির হার প্রতিদিনই বাড়ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তানবিরুল আলম বলেন, পরীক্ষার্থীদেরকে নকল করতে সহযোগীতাদানের ঘটনায় ভবানিগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আট শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর পরীক্ষায় যেভাবে নকলের অভিযোগ ওঠেছে তা সঠিক নয়। কারণ এসব নকল করছে কেবল কারিগরি ও জেডিসি পরীক্ষাথীরা। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা কোনপ্রকার নকল করছে না বলেও তিনি দাবী করেন।

এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here