Featured-4-3স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। আজ সোমবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোমবার সকালে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহেও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শিক্ষার্থীদের অনুরোধ ও তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে কেবল সেমিস্টার/কোর্স ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মিডটার্ম পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণি পরীক্ষা ওই সময় স্থগিত থাকবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সকাল থেকেই আমাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক এই কর্মসূচি পালন করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত সাড়ে ৮ মাস যাবৎ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। প্রধাানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার বহুবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের ৫ মিনিটের জন্যও সময় দেন নাই। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। এ পর্যন্ত কোনো সমাধান না পেয়ে আজ এ পর্যায়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। এটাকে আন্দোলন ঠিক বলবো না। আমাদের মর্যাদার জন্য এই জায়গা যেতে হয়েছে। আমাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।
২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মুজাফফর আহম্মেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ কামালসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি একই দাবিতে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। ৭ জানুয়ারি স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এরপর আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
৭ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষক নেতারা বলেছিলেন, ক্লাস বন্ধ থাকলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here