সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে শার্শার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ৬টি ইট ভাটা। যা পরিবেশের উপর চরম প্রভাব ফেলছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে শার্শা কয়েকটি এলাকার কৃষি জমিতে অবেধ ভাবে ৬টি ইট ভাটা নির্মান করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যার অধিকাংশ জন বসতিপুর্ন এলাকায়। প্রত্রেকটি ভাটায় সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় নাভারন-সাতক্ষিরা সড়কের কুচেমোড়া নামক স্থানে দুটি ইট ভাটা গড়ে উঠছে। যা সম্পুর্নভাবে কৃষি জমির উপর।
কুচেমোড়া এলাকার শামছুর রহমান নামক এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ২৫ একর কৃষি জমি নস্ট করে এক নতুন ইটের ভাটা গড়ে তুলচে। অথচ, পাশেই কৃষি জমিতে ১৫ বছর আগে এ ব্যক্তির আরেকটি ইট ভাটা রয়েছে। এ ছাড়া তার পুরনো ভাটায় প্রতিদিন হাজার হাজার মন কাঠ পোড়ানো হয়। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য তিনি ভাটার সম্মুখভাগে কয়লা রাখলেও মাটির দেয়ালের পাশে হাজার হাজার মন কাঠ সর্ব সময় মজুদ রাখা হেচ্ছ। এ চিত্র শার্শার প্রায় অধিকাংশ ভাটার।
শার্শা উপজেলা ইট ভাটা সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই জানান, কৃষি জমিতে নতুন করে কোন ইট ভাটা নির্মান করা যাবেনা বলে সরকার এক বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। আমরাও সরকারের এই বিধি নিষেধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। সরকারের নিষেধাজ্ঞার আগেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ ইয়ানুর রহমান/শার্শা