জয়ডেস্ক নিউজ :: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, শহিদুল আলমের দেওয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও (আওয়ামী লীগের) পার্টি অফিসে হামলা চালায়।

শুক্রবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জয় এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্ট রাতে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে তারা ধানমন্ডির বাসা থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ আগস্ট (সোমবার) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন শহিদুল।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জয় তার পোস্টে বলেন, ‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম, আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কর্মীদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করতো। তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উস্কে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম?’

‘আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধু ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন। শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি আজ শহিদুল আলমকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমিসহ সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে?’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যেই উদাহরণ দিয়েছি, শহিদুল আলম ঠিক তাই করেছেন। তার দেওয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের উপর ও পার্টি অফিসে হামলা চালায়। একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কর্মীরা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আমাদের এক কর্মী তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন।’

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here