খোরশেদ আলম বাবুল।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু কররেছ আদালত। রফিকুল ইসলামের ছোট স্ত্রী মেবিন আক্তারের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচাকর এ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। এর পর থেকে রফিকুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে যানা গেছে। তবে রফিকুল ইসলাম প্রশিক্ষনে ঢাকায় আছেন বলে পালিয়ে থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন।

মামলার আর্জি ও বাদির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত মজিদ উকিলের পুত্র। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর পূর্বের স্ত্রী-সন্তান গোপন রেখে রফিকুল ইসলাম তার অধিনস্থ (আয়া) মেবিন আক্তারকে বিয়ে করেন। পরববর্তীতে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে মেবিনকে তালাক দেয় রফিক। মেবিন বাদি হয়ে আদালতে মামলা করে এবং ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ হয়। তখন রফিক মেরিনার কাছ থেকে যৌতুক নিবে না শর্তে মামলা তুুলে নিতে বাধ্য করে এবং পুনঃরায় মেবিনকে বিবাহ করে। তারপর মেবিনকে রফিক তার সহযোগী রম্ননু বেগম, সবুজ উকিল, আকাশ ও মামুন মোলা্যাদের নিয়ে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে। দ্বিতীয় বারের মতো মেবিন আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারী ও শিশু ৩০৫/১৬ মামরা করে। আদালত সেই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করায় রফিক পলাতক রয়েছে।

রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও মামলার বাদি মোসাঃ মেবিন আক্তার বলেন, আমার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পরে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে আয়ার চাকুরী নেই। আসামী রফিকুল ইসলাম উপ-পরিচালক হিসেবে আসার পরে আমাকে বিয়ে করতে চায়। বিয়েতে রাজী না থাকায় রফিক বিভিন্ন উপজেলায় আমাকে বদলী করে হয়রানী করে। পরবর্তীতে হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে বিয়েতে রাজি হই। পরে শুনি রফিকের পূর্বের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। বিষয়টি জানাজানির এক পর্যায়ে যৌতুকের দাবিতে রফিক আমাকে তালাক দেয়। আমি কোর্টে মামলা করলে কোর্ট আসামি রফিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেয়। তখন রফিক যৌতুক নিবে না শর্তে আমাকে পুনঃরায় বিবাহ করে। পরবর্তীতে আবার যৌতুকের দাবীতে আমাকে নির্যাতন করে। আমি আবার মামলা করি। সেই মামলার ওয়ারেন্টে আসামি রফিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বুধবার বিকালে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলামকে তার কক্ষে দেখা যায় নাই। তখন হিসাব রক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহীন বলেন, স্যার অনেকদিন যাবৎ অফিসে নেই। আমি এর মধ্যে দুইদিন ছুটিতে ছিলাম তখন নাকি স্যার অফিস করছে। স্যারের সাথে আমার দেখা হয়া নাই।

শরীয়তপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রশিক্ষনে ঢাকায় আছি। এ মাসেও আমি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভিজিট করেছি তার প্রমান আছে। আমি পালাইনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here