রংপুর: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রার্থীতা বহাল থাকছে এমনই গুঞ্জন উঠেছে জাপা দূর্গ হিসেবে পরিচিত রংপুরসহ পুরো দেশে।
শনিবার প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত সময়ের পর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুরে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এরশাদসহ জাপা চার প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কিংবা তার প্রার্থীতা বাতিল করার বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে জোর করেই জাপা চেয়ারম্যানসহ চার নেতার প্রার্থীতা বহাল রাখা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকতা ও রংপুর জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মেদ তার কার্যালয়ে রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাপা চেয়ারম্যানসহ অপর চার জাপা প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দেন।
আবেদনপত্রগুলো যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী দাখিল করা হয়নি বলে জানিয়ে দেন রিটার্নিং অফিসার।
রংপুর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে রংপুর-৫ ছাড়া বাকি ৫ টি আসনে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদসহ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে রংপুর-৩ আসনে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। একই সঙ্গে রংপুর-১ আসনের মশিয়ার রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৪ আসনের করিম উদ্দিন ভরসা ও রংপুর-৬ আসনের নুর আলম যাদু মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন।
তবে রিটার্নিং অফিসার ফরিদ আহম্মেদ সেসব আবেদন খারিজ করে দেন। এর কারণ হিসেবে বলেন, জাপা চেয়ারম্যান এরশাদসহ চার জাপা প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন আরপিওর বিধান অনুযায়ী যথাযথ না হওয়ায় তা খারিজ করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, প্রার্থীকে নিজে অথবা তার মনোনীত ব্যক্তিকে লিখিত আবেদনপত্র নিয়ে আসতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে তারা আরপিও বিধান অনুসরণ করেননি।
এদিকে, রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডিউক চৌধুরী ও রংপুর-৬ আসনে সরকার দলীয় প্রার্থী এইচ এন আশিকুর রহমানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাদের বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করার কথা রয়েছে শনিবার। তবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here