সোহানুর রহমান, ওয়েস্টমিনিস্টার, লন্ডন থেকে :: লন্ডনে বাংলাদেশের ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় হামলার শিকার হয়েছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়েস্টমিনস্টারের দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন। ওই বিক্ষোভ থেকেই উপমন্ত্রী জয়ের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারে সরকারপ্রধানদের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কনফারেন্স সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অবশ্য দেখা যায়, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী বারক্লেস ব্যাংকের সামনে উপমন্ত্রীকে ঘিরে রেখে হামলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। একজন দূর থেকে তার দিকে পানি ছুড়ে মারেন। এর মধ্যে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক বলেন, আরিফ খান জয় বিএনপির বিক্ষোভের পাশ দিয়ে হেঁটে সম্মেলন কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির বিক্ষোভ থেকে তার উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করা হয়। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। এ সময় আরিফ খান দৌড়ে গিয়ে পাশের বারক্লেস ব্যাংকের সামনে গিয়ে আশ্রয় খোঁজেন। হামলাকারীরাও তার পিছু নেন। পরে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী তাকে রক্ষা করেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ করার সময় আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের কাছে আসেন না। তিনি (আরিফ খান জয়) কেন আসলেন, আমরা বুঝলাম না।’
এম এ মালেক জানান, তারা উপমন্ত্রীকে রক্ষা না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। এ ঘটনায় মারুফ ও বাপ্পি নামে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বিএনপি যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তারা আবারও প্রমাণ করল, প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেবলই সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সমস্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের গণমানুষের কোনো সম্পর্ক নেই।’