নিউজ ডেস্ক:: আগামী ৩১ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দুইটি ও খাগড়াছড়ির নব গঠিত গুইমারা উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে শেষ মূহুর্তে জোরালো প্রচারণায় জমে উঠেছে । এ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ–
মাঠে নেই বিএনপি’র প্রার্থীরা, প্রচার–প্রচারণায় ব্যস্তআওয়ামীলীগের প্রার্থীরা
জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: আগামী ৩১ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনুষ্ঠিত হবে দুই ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে এসব এলাকা। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামীলীগের প্রার্র্থীরা। বিএনপি প্রার্থীরা অনেকটাই নিস্কিৃয় হয়ে মাঠ ছাড়া রয়েছেন। এক্ষেত্রে সরকার দলীয় প্রভাব বিস্তারসহ নানা অভিযোগ তাদের। যদিও তা মানতে নারাজ সরকার দলের প্রার্থীরা। এ নিয়ে ভোটারদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এলাকা ঘুরে আচরণ বিধি লঙ্গণের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেলেও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়া না পাওয়ার হিসেব দেখিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, আগামী ৩১ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর মার্টিন ও চর লরেন্স ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া একই তারিখে জেলার ৪টি উপজেলায় বিগত ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত আরো ১৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এ দুটি ইউনিয়নে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অনেকটাই নিস্কিৃয়। কিছু পোষ্টার ছাপিয়ে তারা দায়সারাভাবে এলাকায় অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়রা জানান। চরমার্টিন ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমদ বলছেন সরকার দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় বাধা, ভাংচুর, বোমাবাজি করে আতংক সৃষ্টি করার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছেন। একই অভিযোগ চর লরেন্স ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনেরও।
এদিকে এ দু’ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যন প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। তবে তারা বিএনপি’র প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ দু’ইউনিয়নে অন্য দলের প্রার্র্থীরা নাম মাত্র প্রার্থী থাকলেও তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।
অন্যদিকে সাধারণ ভোটাররাও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কেউ বলছেন সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কিত তারা, বোমাবাজি ও মহড়া আতংকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ভাবছেন মানুষ। আবার কেউ বলছেন নির্বাচনকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দিপনা কাজ করছে।
অপরদিকে এসব এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজন মোটর সাইকেল মহড়া, দেয়ালে পোষ্টার লাগানো, মিছিল করাসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গণ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপক প্রস্তৃতি নেয়া হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্গণসহ বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেষ মূহুর্তের জমে উঠে প্রচার–প্রচারণা
আল–মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: নব গঠিত গুইমারা উপজেলায় আসন্ন ৩১ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার গুইমারা সদর, হাফছড়ি ও সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে শেষ মূহুর্তে জোরালো প্রচারণায় জমে উঠেছে তিন ইউপি। মাইকিং, পথ সভা, উঠান বৈঠক ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের দোয়া প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। তীব্র গরম আর রাতের আধার থামছে না প্রার্থীদের।
যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের দিন, তাইতো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রার্থীদের ব্যস্ততা ও প্রচারণার ধুম। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পাড়ার অলিগলি। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কোন প্রার্থী। জয়ের আশায় ভোট চাইতে ভোটারদের দাঁড়ে দাঁড়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সাবেক ইউপি সদস্যদের ভাল কাজের কদর যেমনি রয়েছে ভোটারদের কাছে তেমনি উদীয়মান নতুন মেম্বার প্রার্থীরা জয়ের আশায় মাঠে নেমেছে কোমড় বেঁধে।
নিজ নিজ দলের প্রতিক নিয়ে এবার প্রথম বারের মত নির্বাচন হওয়ায় দলের ব্যানারে লড়াই হবে এবার মর্যাদার। তাই সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা যেমন প্রত্যক ইউনিয়ন পরিষদ নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া অন্যদিকে বিএনপিও হাল ছাড়তে রাজি নয়। ৩ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ-বিএনপির ৬ প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতার পথে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়ে ৩ স্বতন্ত্র ও এক জাকের পার্টির এক প্রার্থী।
বি.এন.পি মনোনীত “ধানের শীষ” প্রতীক নিয়ে গুইমারা সদরে মোঃ মোখলেছুর রহমান, হাফছড়ি মাহাবুব আলী ও সিন্দুকছড়িতে দ্বীন মোহাম্মদ। বর্তমান সরকার দলীয় প্রার্থী (আওয়ামীলীগ) “নৌকা” প্রতীক নিয়ে গুইমারা সদর ইউপিতে মেমং মারমা, হাফছড়িতে চাইথোয়াই চৌধুরী ও সিন্দুকছড়িতে সুইনুপ্রু চৌধুরী।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সদর ইউনিয়নে (আনারস) প্রতিকে নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা, (আনারস) প্রতিক নিয়ে উশ্যেপ্রু মারমা, হাফছড়ি (জাকের পার্টি) প্রার্থী জামাল উদ্দিন (গোলাপফুল) এবং সিন্দুকছড়িতে (আনারাস) প্রতিকে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদাক মারমা মাঠে লড়ছেন। ৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, সংরক্ষিত আসনের (মহিলা) সদস্য ২৩ জন, সাধারণ আসনের সদস্য ৮০ জন (পুরুষ) নির্বাচন করছেন।
এদিকে গুইমারা ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ বছরের মেম্বার পদে জনপ্রতিনিধিত্বকারী আহম্মদ কবির মেম্বার এবার লড়ছেন (তালা) প্রতিক নিয়ে। জনগণের আস্থা ভাজন হওয়ায় ভোটাররা এবার তালামূখী ভোটের ব্যালটে জয়ের প্রত্যাশা করছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে তালার প্রচারণা দেখা খাদ্য গুদাম এলাকায়। তিনি জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদি এবং জনগণের স্বচ্ছ ভোটে তিনি জয়যুক্ত হবে বলে মনে করছেন।
তিনি অসামপ্রদায়িক ব্যাক্তি হিসেবে যেমনি পরিচিত তেমনি গরিব-দূখী মানুষের পাশে সমান ভাবে প্রধান্য দিয়ে উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছেন বলে স্থনীয়রা মন্তব্য করেন।সে জন্যই এবার তারই জয় জনগন প্রতিশ্রুত বলে জানান এক সাধারণ ভোটার। এছাড়াও একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন উদীয়মান যুবক (ফুটবল) প্রতিকে সাইফুল ইসলাম, (টিউবওয়েল) প্রতিকে জনার্ধন সেন।