জহিরুল ইসলাম শিবলু।

laxmipurলক্ষীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর এলাকায় সিএনজি থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে হাত-পা বেঁধে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে রাতভর গণধর্ষণ করে তারা।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে একই ইউনিয়নের হোগল ডহরী এলাকার একটি বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জহির হোসেন, মামুন ও কালা মিয়া নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। চারজনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী।

পুলিশ ও নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার জানায়, দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়ার নিজ বাড়ি থেকে বুধবার সকালে রকিমপুর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রী। একইদিন বিকেলে বোনের বাড়ি থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয় সে। এ সময় বশিকপুর মাদ্রাসা এলাকায় পৌঁছলে সন্ত্রাসী জহির হোসেন, মামুন, কালা মিয়া ও আনোয়ার হোসেন সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে জোরপূর্বক মুখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। পরে হোগল ডহরীর এলাকার একটি বাসায় তাকে আটকিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করে তারা।

খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ওই বাসা থেকে ছাত্রীকে গুরম্নতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় জহির হোসেন, মামুন হোসেন, কালা মিয়া ও আনোয়ার হোসেনসহ ৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ আটককৃত তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। অন্য আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here