রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় আলোও প্রয়োজন আশরাফ আলী:: ত্রান সহায়তায় শুধু আহার নয়; ষুষ্ঠ জীবন ধারনে রহিঙ্গাদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার যোগান দিতে সহায়তাকারী ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি রিয়াজ উদ্দীন।

গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বার্মার রাখাইন রাজ্য থেকে আসা মুসলমানরা দু শতাব্দী কাল ধর্মীয় শিক্ষা বঞ্চিত। ফলে তারা ভূলতে বসেছে নিজেদের মুসলমানিত্বের পরিচয়।

স্থানীয় আলেম, মাওলানা কেয়ামত উল্লাহ জানান ‘শরনার্থী মুসলমানদের বেশির ভাগ লোক সূরা-কেরাত জানেন না। এমনকি অনেকে কালেমা তাইয়্যেবাও পড়তে পারেন না।’

আমির হোসেন নামে একব্যক্তি জানান, ‘এখানে যারা এসেছেন, সকলে মুসলমান। অথচ এদের ইবাদতের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই।’

বাস্তবতা উপলদ্ধি করে জনাব রিয়াজ তার বন্ধুদের সহযোগিতায় পনের শ’ পরিবারকে ত্রান সহায়তা দান, একটি মসজিদ ও মাক্তাব নির্মান, সাতটি নলকূপ স্থাপন, তিনটি স্যানিটারি টয়লেট নির্মান সহ দশ লক্ষাধিক টাকার সহায়তা প্রদান করেন।

স্থানীয়দের সহযোগীতায় দিনের প্রথম প্রহর থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরন শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, ফরায়েজী হাসপাতালের এম ডি ডাঃ মোক্তার হোসেন, মানবাধিকার কমিশন ঢাকা উত্তরের সভাপতি তামিম, বনশ্রী জমজম মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি শাখাওয়াত হোসেন, ফাষ্ট সিকিউরিটি বনশ্রী চেয়ারম্যান ও মাকের্নটাইল ইনস্যুরেন্স লিঃ এর ডিএমডি মিজানুর রহমান, ঢাকা ডিজাইন কর্পোরেশনের এম ডি রিয়াজ উদ্দিন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহীদ উদ্দিন।

স্থানীয় হোয়াইটং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ জানান, “এখানে প্রচুর পরিমান পরিবেশ বান্ধব টয়লেট প্রয়োজন। পরিবেশ দুষন রোধে জনসচেতনতা দরকার। এর জন্য মসজিদ-মাক্তাব কেন্দ্রীক ধর্মীয় অনুসাশন ও শৃঙ্খলাবোধ শিক্ষাদানে অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন জরুরি।”

এছাড়াও ঢাকা থেকে আগত দশ সদস্যের সহায়তা দানকারী টীমকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান স্থানীয় এই প্রতিনিধি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here