রিড প্রকল্পের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালাআল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: খাগড়াছড়িতে রিড প্রকল্পের কমিউনিটি লিটারেসী ভলান্টিয়ারদের দুই দিন ব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ির খাগড়াপুরস্থ একটি হোটেলের হল রুমে এ কর্মশালার উদ্বোধন করে প্রকল্প সমন্বয়কারী দয়ানন্দ ত্রিপুরা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন টেকনিকেল অফিসার অনিল চাকমা, লোক জ্যোতি চাকমা, পল ত্রিপুরা ও অরুন জ্যোতি চাকমা।

ইউনাইটেট স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর অর্থায়নে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর কারিগরি সহয়োগিতায় রিড প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির তিন উপজেলা ৪৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা নিয়ে শেখানো হয়।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বর্ণজ্ঞান, শব্ধভান্ডার, উচ্চারন, বোধগম্যতা ও সাবলীলতা শেখে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি রয়েছে দুই জন লিটারেসী ভল্টান্টিয়ার। তারা বিদ্যালয় ছুটির পর সপ্তাহে চার দিন বিদ্যালয়ের মাঠে গাছের ছায়ায় আনন্দ গন পরিবেশে রিডিং ক্যাম্পের মাধ্যমে শিশুদের শিখিয়ে থাকেন। রিডিং ক্যাম্পে শিশুরা ছবি আঁকে, গল্প শুনে, গান ও কবিতা আবৃত্তি করে, যুক্ত বর্ন ইত্যাদি শিখে।

শিক্ষার্থীদের আরো ভালো ভাবে শেখানোর জন্য স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাবারাং প্রকল্পের কমিউনিটি লিটারেসী ভলান্টিয়ারদের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে। এই কর্মশালা আগামী কাল বুধবার বিকেল চার টায় শেষ হবে।

খাগড়াছড়ির স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী দয়ানন্দ ত্রিপুরা প্রশিক্ষণ উদ্বোধনের সময় প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন এই প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশিক্ষণ। এটি শুধু প্রকল্প চলাকানীন শিক্ষার্থীদের শেখানের কাজে লাগবে তা নয়, এটি ব্যাক্তি ও পারিবারিক জীবনে কাজে লাগানো যাবে। যাদের সন্তান আছে বা যাদের সন্তান বিদ্যালয়ে যায় তাদের জন্য ও গুরুত্বপূর্ন। তাই মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের অনুরোধ করেন।

তিনি এই প্রতিবেদককে আরো বলেন রিড প্রকল্পটি অত্যন্ত সময় উপযোগী একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বর্ণ জ্ঞান, শব্দভান্ডার বৃদ্ধি, যুক্ত বর্ণ, বোধগম্যতা ও সাবলীলতা শিখতে পারছে। সর্বোপরি প্রথম শেণিতে পড়ে একজন শিক্ষার্থী সহজে বাংলা পড়তে পারছে ও বুঝতে পারছে।

তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ের অনুপাতে প্রকল্পের সময় তিন বছর অত্যন্ত কম। এই কম সময়ের মধ্যে খুব বেশি শিক্ষার্থীদের শেখানো কঠিন। প্রকল্পের মেযাদ শেষ হবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি দাতা সংস্থাদের প্রতি অনুরোধ জানান এই ধরনের প্রকল্পগুলো যেন দীর্ঘ মেয়াদী করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here