জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রায়পুর উপজেলায় স্ব্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিসে ছাত্রলীগের হামালা প্রধানমন্ত্রীর ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবর রাত ১০টার দিকে রায়পুর উপজেলা চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হায়দরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ ও জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদ এবং চরআবাবিল ইউনিয়র ছাত্রলীগের সম্পাদক আনারুল কবির আজিজের সাথে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা আজিজ ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে পাপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে হায়দরগঞ্জ বাজারে। মিছিল শেষে আজিজ বাজারের স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে যায়।
খবর পেয়ে পাপেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে নিয়ে দেশিও অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে তার নের্তৃত্বে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসের ব্যাপক হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে চলে যায়। এসময় কেউ আহত হয়নি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক তানভির হায়দর চৌধুরী রিংকু বলেন, রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদ ও তাঁর ক্যাডাররা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিস ভাংচুর করে তান্ডব চালিয়েছেন। তাদের তান্ডব থেকে বাদ পড়েনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মজিবুর রহমানের ছবিও। ছাত্রলীগ নামধারী এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপেল মাহমুদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন না রিসিভ করায় তার বক্তব্য পাওয়া য়ানি।
তবে রায়াপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ জনি বলেন, ছাত্রলীগ হয়ে নিজ দলীয় অফিসে হামলার ঘটনাটি অতান্ত দুঃখ জনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্থানী ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।