ভারতের পাঁচটি রাজ্যে কাল শনিবার থেকে পর্যায়ক্রমে বিধানসভার নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রাহুল গান্ধীর নিজ নির্বাচনী এলাকা উত্তর প্রদেশও রয়েছে। ওই পাঁচ প্রদেশের নির্বাচন একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও দলটির তরুণ নেতা রাহুল গান্ধীর জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর ও গোয়া—এই পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রে ছিলেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরি এবং দলটির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি রাহুল। ভোটারদের সমর্থন আদায়ে তাঁকে ঘিরেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ, সরকারের শরিকদের মধ্যে আস্থার সংকট এবং দলের ভেতরকার টানাপোড়েন সামাল দিতে রাহুল কতটা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবেন, এমন প্রশ্ন আগেও উঠেছে।সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোটের ফলাফল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এমনকি নির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো-মন্দের দায়দায়িত্ব অনেকাংশেই রাহুলের ঘাড়ে বর্তাবে বলে ভাবা হচ্ছে। অনেকে রাহুলকে ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন। দিল্লিভিত্তিক গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল মেরি টাইম ফাউন্ডেশনের পরিচালক উদয় ভাস্কর বলেছেন, রাহুল গান্ধী পরীক্ষার মুখে পড়েছেন। যদি তিনি উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসকে বিজয়ী করতে পারেন, তাহলে অভিনন্দিত হবেন।উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আছে মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজ পার্টি। দলিত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করা মায়াবতী ভোটের ফলাফল পক্ষে নিতে শ্রেণী ও ধর্মীয় বিভাজনের বিষয়টি তুলে এর আগেও নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছেন।ভারতের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৫৫২ আসনের আইনসভায় উত্তর প্রদেশ থেকেই ৮০ জন সাংসদ মনোনীত হবেন।সেন্টার অব পলিসি রিসার্চের সভাপতি কে সি শিবরামকৃষ্ণা বলেন, অতীত নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশ বিরাট প্রভাব ফেলে। অন্য প্রদেশের নির্বাচনের চেয়ে এই প্রদেশের নির্বাচন অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ।ভারতের রাজনৈতিক ভাষ্যকার পারশা ভেঙ্কটেশ্বর রাও বলেন, তিনি আশা করছেন, ভোটের ফলাফলে কংগ্রেস মণিপুর, পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে জয়ী হবে। অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচনে হারার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, আর্থিক কেলেঙ্কারি, সরকারের ভেতরকার টানাপোড়েন, সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা—এসব বিষয় বিরোধী দলকে আন্দোলনের সুযোগ করে দিতে পারে। এএফপি।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here