নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করেছে আওয়ামী লীগ। সংলাপ চলে বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্যাহ, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও হাছান মাহমুদ।

আজ দুপুর একটায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংলাপের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে সংসদ ভবনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিজেদের আজকের সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সংলাপের জন্য তাঁদের কাছে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে পরামর্শ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনার কথা আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ নেই।

             রাষ্ট্রপতি-আওয়ামী লীগ সংলাপ আজ

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ আজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ধারাবাহিক সংলাপের দ্বাদশ দিন বৃহস্পতিবার বঙ্গবভনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সিনিয়র সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যদের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেবেন।

প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিল, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এর আগে বুধবার সংলাপে অংশ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানায় প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। সংলাপে অংশ নিয়ে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের পক্ষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মেয়াদ আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। আর আরেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হুসেনের মেয়াদ শেষ হবে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফলে নতুন ইসির নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা নিরসনে রাষ্ট্রপতি গত ১৮ ডিসেম্বর সংলাপ আয়োজনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৯ জন নির্বাচন কমিশনার ও ১০ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২১৪ ডট কম/স্টফ রিপোর্টার

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here