রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রমোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন:: সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক সাংবাদিক সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইস্যু নিয়ে পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির আন্দোলন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের প্রয়োজনীয়তা, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ক্ষেত্রে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে কি হবে না তার বিস্তারিত স্বচিত্র বিবরণ তুলে ধরেছেন।

আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি, কিন্তু অসুস্থ হওয়ার ছুটিতে বাসায় ছিলাম তাই সাংবাদিক সম্মেলনের পুরোটাই আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাধারন জনগনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে অযোক্তিক আন্দোলণ চলছে তা এভাবে এসময় বিস্তারিত তুলে ধরা যথোপযুক্ত ছিল। এবং আপনি তা করেছেন। ভবিষ্যতেও যেকোন সূভ কাজে আপনার সুদৃহ অবস্থান থাকবে এটাই কামনা করছি।

দেশের বিরোধী দলগুলো সব সময় সরকারের কাজের সমালোচনা করবে, আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমালোচনা বা আন্দোলন করার আগে ভাবতে হবে সাধারন জনগন আন্দোলনটাকে কতটুকু গ্রহন করবে।

কারন আমাদের দেশের বর্তমান জনগন ডিজিটাল যুগের জনগন। তারা এখন আরএকটি চ্যানেলের সংবাদ দেখে না তারা প্রতিটি চ্যানেলের সংবাদ দেখে এবং বিশ্লেষন করে দেখে কোন সংবাদটি সঠিক। মুষ্টিমেয় জনগনকে সম্ভব হলেও সব জনগনকে এখন আর ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ চালাচ্ছে তাতে এই বাংলাদেশ বিশ্বের একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে সীগ্রই পরিচিতি লাভ করবে।

বিদ্যুৎ আমাদের স্বাভাবিক জীবনের একটি অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান। আমারা এখন বিদ্যুৎবিহীন এক মুহুর্ত কাটাতে চাইনা। বিগত সরকারের আমলে লোডসেডিং এর কথা যদি কেউ ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে একটু কষ্ট করে স্মরন করার চেষ্টা করুন। তাহলে আজ সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা পুরনের জন্য কয়লা ভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান হচ্ছে সেখানে এই উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা না করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান হলে সুন্দরবন ধ্বংশ হবে এই দোহাই দিয়ে অযুক্তিক আন্দোলন করছেন।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এক বক্তব্যে বলেছেন, আন্দোলন কারীদের মধ্যে কয়েকজন নাকি হেলিকাপ্টারে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসেছেন। তারা কি অন্ধ ছিলেন। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে কি হবে না তারা কি তা বুঝতে পারেননি।

প্রধান মন্ত্রী তার বক্তব্যে বিভিন্ন দেশে নির্মিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যিুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি জনবসতি এবং ফসলিজমির যে ছবি দেখিয়েছেন তা কি আন্দোলনকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। যদি বিশ্বাস না হয়ে থাকে আপনারা স্বচক্ষে তা দেখে আসুন তার পর আন্দোলন করবেন। আপনারা দেশ বিরোধী লোকজনের অর্থে সাধারন জনগনকে ভুল বুঝিয়ে রাস্তায় অযুক্তির আন্দোলন করবেন সাধারন জনগনের ভোগান্তির সৃষ্টি করবেন তা সচেতন জনগন কখনও মেনে নেবে না।

পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি দেশে কয়টি বৃক্ষ রোপন করেছেন। পরিবেশ এর জন্য ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যাগ ফ্রাক্টরি বন্ধের আন্দোলন কেন চালিয়ে যাচ্ছেন না। প্লাষ্টিক বোতল যাহাতে পুড়িয়ে ফেলা হয় তার জন্য সরকাকে কি পরামর্শ দিয়েছেন ?

আমাদের আন্দোলন করা উচিৎ দেশের দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অন্যায় অত্যাচারদের বিরুদ্ধে, প্রতি বছর হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে যারা তামাশা করে তাদের বিরুদ্ধে, প্রকাশ্যে যারা ঘুষ ছাড়া কাজ করে না তাদের বিরুদ্ধে, চিকিৎসার নামে যারা হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের বিরুদ্ধে, যারা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে, যারা চাকুরী দেয়ার নাম করে

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন
লেখক মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন

লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকুরী দেয় না তাদের বিরুদ্ধে, যারা ভোটের সময় জাল ভোট দেয় এবং ব্যালট বাক্স চুরি করে বিরুদ্ধে।

আসুন সবাই নিলে অযুক্তিত আন্দোলন না করে যুক্তিত আন্দোলনে জনগনের পাশে দাড়াই। সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে বর্তমান সরকারকে সাহায্য করি। দেশ এগিয়ে গেলে আমরা ও এগিয়ে যাব।

লেখক: ফ্রিলেন্স সাংবাদিক,

ইমেইলঃ soyeb4@gmail.com

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here