জহুরুল ইসলাম মুন।
রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুুল হক হলে তল্লাশি চালিয়ে শিবির সন্দেহে ১৩ শিক্ষার্থী ও হল মসজিদের ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের আবুল খায়ের, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইউসুফ আলী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের আবদুস সবুর, একই বিভাগের মাস্টার্সের লোকমান হোসেন সিরাজী, মেহেদি হাসান, চতুর্থ বর্ষের আবদুল হক মানিক, শরীফুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মুরাদ, ক্রপ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের ফাহাদ আলম, ভাষা বিভাগের মাস্টার্সের রায়হান, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের সিরাজুল ইসলাম সুমন, মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের আনোয়ারুল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষের মোস্তাক আহমেদ। এছাড়া মসজিদের ইমাম সানাউল্লাহকে (৫৫) আটক করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) আমীর জাফর বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই হলে নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হলে তল্লাশি চালানো হয়।
এসময় হল মসজিদ থেকে শিবিরের সাংগঠনিক বই, নথি ও ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি চলাকালে শিবির সন্দেহে মসজিদের ইমামসহ ১৪ জনকে আটক করে মতিহার থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘দেশে জঙ্গি তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সতর্ক আছি। ক্যাম্পাসে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে একটি হলে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
এর আগে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে শিবির সন্দেহে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রাজিবুল হাসান সৈকত ও রাজশাহী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের আব্দুর রাজ্জাক নামে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তারা দু’জনেই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুরের জুই ছাত্রাবাসে থাকেন।