রাজশাহী : দিনের পর দিন দেশের অসুস্থ রাজনীতির প্রভাব পড়েছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র রাজনীতিতে । ক্ষমতার লড়াইয়ে কলুষিত এখন ছাত্র রাজনীতি ।

যার প্রভাবে দেশের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক খুনের শিকার হচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা । ফলে এখন আর খুজে পাওয়া যায়না বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা ।

ক্ষমতালোভী রাজনীতির বলি হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে(রাবি) গত ৪ বছরে ছাত্রলীগের ৭ নেতা খুনের শিকার হয়েছেন ।

এর মধ্যে ক্যাম্পাসে ৫ জন এবং বাইরে ২ জন । এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ শুক্রুবার দুপুরে রাবির সোহরাওয়ার্দি হলের নিজ কক্ষে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দ (২৪)। রুসত্মম রাবির রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী । তার গ্রামের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরঞ্জ উপজেলার সাদুল্লপুর গ্রামে ।

যানা গেছে ওই হলের ছাত্রলীগ কমিটির নির্বাচন আগামী ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা । উক্ত নির্বাচনে রুসত্মম আলী ছিলেন একক সভাপতি প্রার্থী । তাই অনেকের ধারণা এই কারনে অনর্ত্মদ্বন্দ্বেই জীবন গেছে রুস্তমের ।  তবে এ হত্যাকান্ডের জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছেন রাবির ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক । তকে কে বা কারা রুসত্মমকে খুন করেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না ।

রাবি ছাত্রলীগের তথ্য মতে, গত ৪ বছরে ছাত্রলীগের ৭ নেতা খুনের শিকার হয়েছে । এর আগে গত বছরের ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ন আহবায়ক রবিউল ইসলাম রবিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডীতে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । এর পূর্বে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী রাতে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ সেপ্টি ট্যাংকে ফেলে দেয় ।

এর পরের্   ২০১০ সালে ১৫ আগস্ট ছাত্রলীগের দলীয়  অনর্ত্মদন্দ্বে ছাত্রলীগ নেতা নাসিরুল্লাহ নাসিমকে এসএম হলের ছাদ থেকে ফেলে দেয় ছাত্রলীগ । এরপরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন পরে তার মৃত্যু হয় । এরপরে ২০১২ সালের ১৬ জুলাই অভ্যানত্মরীন কোন্দলে ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল নিহত হয় ।

এছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে গত বছরের ১৪ নভেম্বর নিজ গ্রামের বাড়িতে খুন হন রাবির এস এম হলের সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন এবং ১৩ জানুয়ারী ঢাকায় খুন হন সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি মাহাবুর রহমান রতন । এছাড়া খুনের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনসহ ১২ নেতা কর্মীর হাত পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা ।

উক্ত হত্যাকান্ডের ক্ষেতে আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল ও নারিুল্লাহ নাসিমের হত্যায় ছাত্রলীগের অভ্যানত্মরীন কোন্দলের কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ । তবে বাকি পাঁচটি হত্যাকান্ডের জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ ।

এদিকে এই প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়ে আর কত মায়ের বুক খালি হবে বা আর কত মায়ের বুক খালি হলে দেশের এই অসুস্থ রাজনীতি সুস্থ হবে তার সদুত্তর খুজে ফিরছে সবাই।

রায়জান হোসাইন/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here