একাত্তর টিভির, সাক্ষাতকার:

ffffff_134048নিউজ ডেস্ক। রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা শুক্রবার রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। জাপান সরকার তাদের সাত নাগরিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। ইতালির নাগরিক নিহত হয়েছেন নয়জন। একজন ভারতীয় নাগরিক।

শুক্রবার রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা গেছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। আর শনিবার সকালে অভিযানে মারা গেছে ছয় সন্ত্রাসী। গ্রেপ্তার হয়েছে একজন। অভিযানে একজন জাপানি, দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যার দায় প্রথম থেকে আইএস দাবি করে আসছে।

গুলশানের হলি আরটিসান বেকারিতে হামলার রাতে একজন বাবুর্চি ওয়াশরুমে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা হোটেলে ঢুকে প্রথমেই বাঙ্গালীদের বের হয়ে যেতে বলে। যখন বাবুর্চি সুমির বরাই এবং আরও আটজন মানুষ বাথরুম থেকে বের হয় তখন দুইজন কিশোর ছেলেকে দেখতে পায়।

তারা জিন্স ও টি-শার্ট পরিধান করেছিল। তারা সুমিরকে বলতে লাগল, ‘তোমাদের ভয় পাবার কোন কারণ নেই। আমরা শুধু বিদেশীদের হত্যা করব।’ এরপর মেঝেতে তাকাতেই দেখা যায়, ৬,৭ টা লাশ পরে আছে। তাদের প্রথমে গুলি করা হয়েছিল এবং পরে জবাই করা হয়।

আর্টিজান ক্যাফেতে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর, রাতে কোরাল মাছ আর পাস্তা খেয়েছিলো খুনিরা। দফায় দফায় কফি পরিবেশন করতে বলছিল তারা। আর এসব সরবরাহ করছিলেন, একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। প্রাণের মায়ায় তিনি নিজেকে মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

সেই রাতের ভয়াবহতা শুনতে এখানে ক্লিক করুন

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here