মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী প্রতিনিধি :: আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রী তৈরির উপকরণ ছোলা, ডাল, তেল, হলুদ, মরিচ, চাল থেকে শুরু করে বেড়েছে মসলার দাম।
সরেজমিনে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-৩০ টাকা। আর বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকারও বেশি। বরাবরের মতো চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকাকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা।
তবে ক্রেতারা জানান, বাজার কারসাজি করেই দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর কিছু দিন পরেই শুরু হচ্ছে রমজান মাস। প্রতি বছরই এ মাসে বেড়ে যায় ছোলা, ডাল, তেল, চিনিসহ ইফতার সামগ্রী তৈরির উপকরন। কিন্তু এবার রোজার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। আর বিদেশি ছোলা ৫ থেকে ১০ টাকা। দেশি মসুর ডালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা।
এদিকে ২ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। অন্যদিকে, চিনির দাম ৬ টাকা । আদা কেজিতে ২০ টাকা । এদিকে জিরা, দারচিনিসহ সব ধরনের মসলার দামই বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
রোজাকে সামনে রেখে মুড়ির চাহিদা বেশি থাকলেও এখনো দাম বাড়েনি। তবে রোজা শুরু হলে দাম বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে মাছের পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও বেড়ে চলেছে শাকসবজির দাম। মাছ, মাংশ, ডিম এর দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে। তবে বেশিরভাগ পন্যের দাম বাড়লেও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা। রমজানের আগেই বাজারে আগুন লাঘায় হাটহাজারীর সাধারন মানুষ এখন দিশেহারা।