হিলি : বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত পিঁয়াজের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৩’শ থেকে বাড়িয়ে ৫’শ ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় পিঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মাকের্টিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (ন্যাফেড)।
এর আগে গত ১৭ জুন পিঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ১শ ৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩শ নির্ধারণ করেছিলেন। ভারত অংশের হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অশোক মন্ডল জানান, রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েও ভারতের বাজারে পিঁয়াজের মূল্য না কমায় আবার দেশের বাজারে পিঁয়াজের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে আনার ও যোগান ঠিক রাখতে এ রপ্তানি মূল্য বাড়িয়েছে মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। দিলি থেকে হিলি কাস্টমসে প্রেরিত ফ্যাক্স বার্তায় পিঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি পিঁয়াজ ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার হিলি পোর্টে ব্যাংক ক্লোজিংয়ের কারণে বন্দরে কোনো পিঁয়াজ কেনাবেচা হয়নি। তবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইন্দে কানপুর জাতের প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ হারুন জানান, ৩শ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য পড়ে প্রকারভেদে ২৪ টাকা থেকে ২৫ টাকা। সেখানে মূল্য ৫শ ডলার নির্ধারণ করায় বর্তমানে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য পড়বে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে বাজারে পিঁয়াজের মূল্য এমনিতেই অস্থিতিশীল এরপর আবারও মূল্য বৃদ্ধির ফলে আমাদের আমদানি ব্যয় আরো বেড়ে যাবে, যার প্রভাবে বাজারে পিঁয়াজের মূল্য আরো বাড়বে।
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন/