আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নির্বাহী কমিটির সভায় সম্প্রতি বড় ধরনের বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাবগুলো এখন আইসিসির বোর্ডে অনুমোদিত হওয়ার অপেক্ষায়।

টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করার প্রস্তাব উঠেছে আইসিসির নির্বাহী কমিটির সভায়। র‌্যাংকিংয়ের সেরা ৯ দলকে প্রথম স্তরে ও দশম দলসহ আর দুটি সহযোগী সদস্যকে শর্ত সাপেক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ দিয়ে এই দুটো স্তর ভাগ করা হবে। সে ক্ষেত্রে এখন ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ থাকবে টেস্টের প্রথম স্তরে। দ্বিতীয় স্তরে দশম স্থানে থাকা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট মর্যাদার জন্য বিবেচিত হতে পারে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।

১৩ দল নিয়ে একটি ওয়ানডে লিগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি এই ওয়ানডে লিগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা। এই ১৩ দলের লিগে টেস্ট খেলুড়ে বর্তমান ১০ দলের সঙ্গে থাকবে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এ ছাড়া আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন দলও ১৩ নম্বর দল হিসেবে এই লিগে থাকবে। 

আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এই আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা। 

বৈঠকে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচটা টাই হলে ‘সুপার ওভারে’র ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। একই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে আইসিসি নারী বিশ্বকাপেও।

ডিআরএসের নিয়মিত ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাহী কমিটির সভায়। এ ব্যাপারে এর প্রয়োগের বিষয়ে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী জুন মাসে অনুমোদিত হবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিগুলোতেও ডিআরএস নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি দল ব্যাটিংয়ের সময় একটি করে রিভিউ নেয়ার অধিকার পাবে।

আফগানিস্তানের দীর্ঘ পরিসরের (চার দিনের ম্যাচ) ঘরোয়া প্রতিযোগিতা আহমেদ শাহ আবদালি আঞ্চলিক টুর্নামেন্টকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাকে দেয়া হচ্ছে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা। এর ফলে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল আফগানিস্তান।

নির্বাহী কমিটির সভায় বাজে উইকেট ও দর্শক আচরণের জন্য ডিমেরিট পয়েন্টেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি ডিমেরিট পয়েন্ট থাকবে পাঁচ বছরের জন্য। কোনো মাঠ পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই মাঠ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের অধিকার হারাবে এক বছরের জন্য।

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন সংশোধন করে মোবাইল ফোনের তথ্য বের করার অধিকারও পেতে যাচ্ছে আকসু।

এ ছাড়াও একটি সুষম অর্থনৈতিক বণ্টননীতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইসিসির সংবিধানে কিছু সংশোধনী এনে তা পাসও করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here