ইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাক ও সিরিয়ার বেশ বড় অংশে তাদের দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। এ কাজ করতে তারা সংগ্রহ করেছে বিপুল মারণাস্ত্র ও জনশক্তি। তাদের এ বিশাল কর্মযজ্ঞে প্রয়োজন হয় প্রচুর অর্থ। কিভাবে তারা এ অর্থ অর্জন করেছে? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
যুদ্ধক্ষেত্রে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আইএস যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নানাভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসী সংগঠনের খ্যাতি অর্জন করেছে।
আইএস-এর অর্থের সবচেয়ে বড় উৎস হলো তেলক্ষেত্র। তারা তাদের অধিকৃত এলাকায় থাকা তেলক্ষেত্রগুলো থেকে কর আদায় করে।
তেল ছাড়াও আইএস-এর অর্থের আরও কিছু উৎস রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তেলক্ষেত্রের উপজাত দ্রবের ব্যবসা, বরফ, আটা ও অন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের কর।
আইএস অধিকৃত এলাকায় তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে আগের তুলনায় সে এলাকায় তেল সস্তা হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের তেলক্ষেত্রগুলোতে আক্রমণের ফলে আইএস-এর আয়ের ক্ষেত্র কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। তার আগে আইএস প্রতিদিন এক থেকে দুই মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত তেল থেকে কর আদায় করত।
এখনও অবশ্য এ আয় অব্যাহত রয়েছে। ইরাকের আইএস নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে তেল মূলত চোরাচালানের মাধ্যমে তুরস্ক ও জর্ডানে যায়। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অঞ্চলেও তা যায়।
আইএস-এর আয়ের আরও উৎস রয়েছে। অধিকৃত এলাকায় তারা বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ থেকে কর আদায় করে। এ ছাড়াও রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে আরোপকৃত কর। যাকাত আইএস-এর আয়ের আরেকটি উৎস।
এছাড়া সে অঞ্চলে বসবাসকারী অমুসলিমদের কাছ থেকেও বড় অংকের কর আদায় করা হয় (ধনীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণ, মধ্যবিত্তদের কাছ থেকে তার অর্ধেক)।
কোনো অঞ্চল শত্রু বাহিনীর থেকে দখল করে নেওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় আইএস। কারণ শত্রুপক্ষের সম্পদ ও সমরাস্ত্র তারা কব্জা করে নেয়। ২০১৪ সালের জুন মাসেও তারা মিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন সমরাস্ত্র দখল করে নেয়। সে সময় ইরাকি সেনাবাহিনীর তিনটি ডিভিশন তাদের অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।