Joseph-Ziauddinনিউ ইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যকান্ডের দুই আসামীকে দেশে ফেরত পাঠানোর লবিং চলছেই। স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ ব্যাপারে পৃথক দুটি বৈঠক করেছেন মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি এবং কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওম্যান তুলশী গ্যাবার্ডের সঙ্গে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যকান্ডের দুই আসামীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে অবিলম্বে ফেরত এবং বাংলাদেশের তৈরী পোষাক যুক্তরাষ্ট্রে ডিউটি ফ্রি এবং কোটামুক্ত হিসেবে রফতানীর প্রক্রিয়া চালুর ব্যাপারে কংগ্রেসের সহকর্মীদের সাথে পরামর্শ করবেন বলে জানান কংগ্রেস সদস্যরা।
বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এই দুই কংগ্রেসম্যানের সাথে পৃথক বৈঠকে জিয়াউদ্দিন কংগ্রেসম্যানদের অবহিত করেন যে, তৈরী পোশাক তৈরীর কারখানাসমূহে কর্মরতদের অধিকাংশই মহিলা। নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উগ্রপন্থি মুক্ত করা সহজ হবে। সে প্রক্রিয়ায় হাঁটছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করলে গোটা পরিবার অশিক্ষা-কুশিক্ষার প্রভাব মুক্ত হবে। রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীন সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বিস্তারিত ব্যাখা প্রদান করেন। ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বাংলাদেশ চরমপন্থি আর সহিংসতায় লিপ্তদের মুলোৎপাটনে সোচ্চার রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ-এমন তথ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন কংগ্রেসম্যানদের জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রীতি সমুন্নত রেখে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চলছে। একইভাবে সকল রীতি অনুসরণ করে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। সেই বিচারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত: দু’জন এখনও যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে রয়েছে। এই ঘাতকদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে দূতাবাসের রাজনীতি বিষয়ক কাউন্সেলর তৌফিক হাসানও ছিলেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here