ডেস্ক নিউজ :: প্রবল তুষারঝড়ের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলো। এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকতে পারে। তুষারঝড়ের কারণে প্রায় সাত হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিপদ মোকাবেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ঘরে মজুদ করে রাখছেন বাসিন্দারা। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবারের মধ্যে ওয়াশিংটন ও আশপাশের এলাকায় আরো দুই ফুটের মতো তুষারপাত হতে পারে। পূর্বাঞ্চলের ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত তুষারঝড় হানা দিয়েছে। আরো তুষারঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরকানসাস, টেনেসি, কেনটাকি, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ভার্জিনিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি অঙ্গরাজ্যে তুষারঝড় বয়ে গেছে।
তুষার ঝড়ের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে আছে, বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বোসার সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘এটাকে বড় ঝড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।’ ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী ফ্লাইটওয়্যার ডটকমের হিসাবে, শুক্র ও শনিবারের নির্ধারিত ৬ হাজার ৬০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
১৯২২ সালে প্রবল তুষার ঝড়ে তিন দিনে ২৮ ইঞ্চির মতো তুষারপাত হয়েছিল। নাট্যশালার ছাদ ধসে পড়ে ১০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এবার যেভাবে তুষারপাত হচ্ছে, তুষারপাতের সেই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলা প্রেস জানায়, আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবারের মাঝামাঝি সময় থেকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও এর আশপাশের এলাকায় দুই ফুটেরও বেশি (প্রায় ৬১ সেন্টিমিটার) তুষার জমতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধরনের তুষার ঝড় হতে পারে ওয়াশিংটনে।
পেনসেলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী মুশফিকুর রহমান জানান, তুষার ঝড়ে এখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের কষ্টের শেষ নেই। রাস্তা-ঘাট, পাশের পার্কিং সব কিছুই এখন বরফের নিচে। আগামীকাল থেকে বরফ সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ নেই বল্লেই চলে।