ষ্টাফ রিপোর্টার ::এক হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে দুই আসামির মৃতু?্যদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আপিল বিভাগ, যেখানে যাবজ্জীবনের অর্থ হবে আমৃত্যু কারাবাস। ১৬ বছর আগে সাভারের জামান হত্যা মামলায় দুই আসামির আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
এই বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালে গাজীপুরে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম গাজীপুর মডেল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দিয়েছে। এ সময় আপিল বিভাগ বলেছে, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস। তখন আমি এর প্রতিবাদ করেছি।’
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ আদালত মৃত্যুদ- থেকে তাদের সাজা যাবজ্জীবন করেছেন। আদেশে বলেছেন, যাবজ্জীবন কারাদ- অর্থ ৩০ বছর নয়, বরং আমৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।
আসামিপক্ষ এ সময় বলেছেন, দ-বিধি অনুযায়ী যাবজ্জীবন অর্থ ৩০ বছর। তখন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রায়ে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হবে। উনার মতামত দেবেন যে আদালত, যদি মনে করেন যে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হবে, তাহলে তাকে মৃত্যুঅবধি জেলে থাকতে হবে। এই (পূর্ণাঙ্গ) রায়টি পেলে একটি দিক নির্দেশনা পাব বলে আশা করি।’
সে ক্ষেত্রে এখন থেকে যাবজ্জীবন কারাদ- মানেই আমৃত্যু কারাদ- ধরতে হবে কিনা জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এখনই এটা বলা যাবে না। এখানে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আইনে ৩০ বছর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি দেখাবেন যে, ৩০ বছর না। যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদ-। বিশেষ করে আদালত যদি এই মর্মে আদেশ দেন, তাহলে আমৃত্যুই থাকতে হবে।’
গত বছর জুনে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শনের সময় এক অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
সেদিন তিনি বলেন, ‘যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে করেন ৩০ বছর। ধরে নেয়, সব জায়গায়। প্রকৃতপক্ষে এটার অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থ হলো একেবারে যাবজ্জীবন, রেস্ট অফ দ্য লাইফ।’
ব্রিটিশ আমলে কারাগারগুলোতে যাবজ্জীবনের প্রশ্ন ছিল না উল্লেখ করে তিনি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তখন একেবারে দ্বীপান্তর করা হতো। আমাদের জেল কোড অনেক পুরনো। এটা নিয়ে ব্রিটিশ আমলে অনেক জগাখিচুড়ি হয়েছে।’