tfরবীন্দ্র নাথ পাল,ময়মনসিংহ : প্রায় এক দশক ধরে ময়মনসিংহ ট্রাফিকের অঘোষিত রাজা হিসেবে বহাল তবিয়তে আছেন জেলা ট্রাফিকের ইনসপেকটর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তাকে বেশ ক’বার বদলী করা হলেও রহস্য জনক কারনে সে আদেশ আবার বাতিল হয়ে যায়। তার এই একই স্থানে বহাল থাকার পিছনে আছে রাজনৈতিক সখ্যতা ও

নগদ লেনদেনের বিষয় আশয়। একটি সুত্রজানায়, পুলিশের চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই সামান্য কিছুদিন বাইরে থাকলেও পরবর্তীতে সে ঘাঁটি গেরে বসে ময়মনসিংহে।সে নিজেকে ধর্মমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন দাবী করে নানাভাবে একই স্থানে আছে প্রায় ৭/৮ বছর। এ সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমার সাথে সর্ম্পক না থাকলেকি আর গত ১লা জানুয়ারী’১৬ইং নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের ধনিয়াগাঁও গ্রামে মসজিদ উদ্বোধন করতে উনাকে নিতে পারি।

আপনি ১লা জানুয়ারীর সমকাল পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ দেখতে পারেন।আমার সভাপতিত্বে উনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়,বিএনপি ঘরানার এই ট্রাফিক ইনসপেকটর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান  ভাতিজা রাসেল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন,এখন আছেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলে।

বিএনপি সরকারে আস্থা ভাজন হিসেবে ময়মনসিংহে ২০০৭ সনে সার্জেন্ট হিসেবে ময়মনসিংহে যোগ দেবার পর তার ভাগ্যের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে। এখানে যোগ দিয়ে তিনি সরকারী ও বিরোধীদলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। ২০০৭সন থেকে ২০১২ সন পর্যন্ত সার্জেন্ট থাকার পর একবার বিদেশে মিশনে যান বলে জানা যায়।

তারপর ২০১২সনের৭ই আগষ্ট ময়মনসিংহে যোগ দিয়ে এখানেই প্রমোশন নিয়ে ট্রাফিক ইনসপেকটর হিসেবে প্রায় সাড়ে ৩ বৎসর যাবৎ বহাল তবিয়তে আছেন। মাঝে কিছুদিন সাভার থেকে আবার ময়মনসিংহে চলে আসেন মধু পাবার জন্য। এখানে তার গাড়ীর ব্যবসার সাথে গোপনে জড়িয়ে আছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তার সম্পদের খোঁজ নিলে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।

যেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ৩ বছরের অধিক সময় একইস্থানে থাকতে পারেন না,সেখানে তিনি একই পদে সাড়ে ৩ বছর যাবৎ একই পদে কোন যাদু মন্ত্রে আছেন,সেটাই রহস্য। অভিযোগ রয়েছে, ইজিবাইক ধরা ছাড়ার জন্য তিনি মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। এমনকি বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের সুপারিশ নিয়ে গরীব ইজিবাইকের চালকরা তার সাথে দেখা করলে তিনি সাফ বলে দেন আমি ধর্মমন্ত্রী ছাড়া কাউকে চিনি না।

এনিয়ে মন্ত্রীর জনৈক আত্মীয়ের নাম বলে গোপনে শহরের বাইরের গাড়ীগুলো ৫/৭ হাজার টাকা নিয়ে গোপনে ধরা- ছাড়ার ব্যবসা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়মনসিংহে তারই প্রশ্রয়ে ফিটনেস বিহীন গাড়ী অবাধে চলছে সড়কে। শুধু মাসে মাসে নগদ নারায়ণ দিলেই খুশী। শহরের বাইরের ইজিবাইকগুলো শহরে মাসিক তোলা দিয়ে অবাধে চললেও বিশেষমহলের সখ্যতার কারনে তা ধরা হয়না। তার একক সিদ্ধান্ত ও অব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় এ শহরে যানজট লেগেই আছে।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে ক্লাবের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা: কে আর ইসলাম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ সুপারের কাছে গাঙ্গিনারপাড়ে যানজট হ্রাসে বিশেষ দৃষ্টি দেবার দাবী জানিয়ে ছিলেন। তারপরও শুধু গাঙ্গিনারপাড় নয়, ব্রীজের মোড়, চরপাড়া, মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজ মোড় ও নতুনবাজার মোড়, ষ্টেশনের মোড়,পাটগুদাম এলাকায় যানজট লেগেই আছে।

এ ব্যাপারে তার সাথে গত দুদিনে মোবাইলে (০১৭১৩-৩৭৩৪৪৬)যোগাযোগ করলেও নানা অজুহাতে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে দেখিয়ে লাইন কেটে দেন।আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জেলা পুলিশ প্রশাসন ও উদ্ধর্তন পুলিশ প্রশাসন তার ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here