শিপুফরাজী, চরফ্যাশন :: দিনের পর দিনে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ আটক করল বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানার উত্তর মঙ্গল গ্রামের চৌমুহনীয়।
অভিযুক্তের নাম আব্দুল জলিল ওরফে জহুরী জলিল ওরফে ম্যাজিক জলিল । বাড়ি চরফ্যাসন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে। অভিযুক্ত জহুরী জলিল কে শশীভূষণ থানার পুলিশ আটক করেছে।পরে চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতা তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, আব্দুল জলিল ওরফে জহুরী জলিল-এর একধিক বিবাহের পর দু’স্ত্রী বর্তমান আছে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে। মামলার বাদিনী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের ৩য় সন্তান এবং বাবার পাপের ফসল নিয়ে জীবন বাঁচাতে ঢাকায় পালিয়ে বেড়ানো অপর কন্যা তার প্রথম স্ত্রীর ঘরের ২য় মেয়ে। নরপশু জলিল প্রথম স্ত্রীসহ ওই ঘরের সন্তানদের নিয়ে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাড়িতে থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার সন্তানদের নিয়ে জলিলের অপর সংসার ছিল শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের উত্তর মঙ্গল গ্রামের বাড়িতে। মাঝে মধ্যে দেখা করার নাম করে জলিল চর কলমী ইউনিয়নের উত্তর মঙ্গল গ্রামের বাড়িতে আসত।
জলিলের ১৫ বছর বয়সী কন্যা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ২ বছর ধরে সময় অসময়ে মায়ের অনুপস্থিতির ভয় দেখিয়ে শারিরিক অত্যাচার ও ধর্ষণ করত তার বাবা জলিল। বাবার এই কুকর্মের কথা জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে মা ও তার ভাইকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দিত। এই ভয়ে মেয়েটি কাওকে কিছু বলতে পারেনি।
দিন দিন অত্যাচারের মাত্র বেড়ে যওয়ায় ধর্ষিতা শিশুকন্যা বাবার কুকির্তর কথা সব বলে দেয় মাকে। মা তার বাবাকে সংশোধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি (মা) বিষয়টি স্থানীয় মান্যগন্যদের অবহিত করেন। কিন্ত এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে জলিল তার স্ত্রীকে মারধর করে।
পরে ধর্ষিতা কন্যা বাদি হয়ে শশীভূষণ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৫ তারিখ ১২/০২/১৮।
শশীভূষণ থানায় পুলিশ পর চরফ্যাসন থানা পুলিশের সহযোগিতায় জলিলকে চরফ্যাসন পৌর সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়।