মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রাম থেকে ৪ টি হত্যা মামলার আসামী ও চরমপন্থি সংগঠন পুর্ব বাংলা লাল পতাকা বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার মাজারুল ইসলাম (২৮) কে গুলিভর্তি একটি সার্টারগান সহ আটক করেছে র‌্যাব ও থানা পুলিশ। বুধবার রাত ১ টার সময় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে মটমুড়া  গ্রামের আবুজেল হকের পুত্র।  তার বিরুদ্ধে ৪ টি হত্যাকান্ড, ২ টি বোমা হামলার মামলাসহ অন্ততঃ ২০ টি অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গাংনী র‌্যাব ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ(বি,এন) সাজ্জাদ রায়হান জানান, মাজহারুল ইসলাম ওরফে মিজু এলাকার ত্রাস ও চরমপন্থি সংগঠন লাল পতাকার আঞ্চলিক নেতা হিসেবে কাজ করতো। সে এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটায় প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি করতো। সমপ্রতি সে চাঁদার দাবীতে কয়েকটি ইটভাটায় হামলা চালিয়ে অন্ততঃ ১০ জন শ্রমিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত (মোবাইল ফোন নং-(০১৮৪৩-৪৩১৩৩৩) মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে নিশ্চিত হয়েই তাকে আটক করা হয়।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার সরদার রাকিবুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) জানান, মাজহারুল ইসলাম ওরফে মিজুর বিরুদ্ধে গাংনী ও আলমডাঙ্গা থানায় ৪ টি খুন, ২ টি বোমা হামলার মামলাসহ ২০ টি অভিযোগ রয়েছে।  ২০০০ সালে সে সর্বহারা দলে যোগদান করে। পরে দল বদল করে ২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর গাংনীর বামন্দি পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে ছাত্রনেতা কাজলকে বোমা মেরে হত্যার পর নিজেকে চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের আঞ্চলিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করে। এ ছাড়াও ২০১১ সালের জানুয়ারীতে চাদার দাবীতে ইটভাটা শ্রমিক বালিয়া ঘাটের আদম আলীকে জবাই করে হত্যা করে। অপরদিকে চলতি বছরের জুন মাসে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা হারদী মাঠের মধ্যে নাজমুল ও মজিবর এবং জুলাই মাসে সাবান নামের ৩ জনকে অপহরণ করে জবাই করে হত্যা করে।

সম্প্রতি বামন্দি এলাকাতে ১৫ টি ইটভাটা মালিকের কাছে চাদা দাবী ছাড়াও বেশ কয়েকজন শ্রমিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ছত্র ছায়ায় থেকে টেন্ডারবাজি ও বোমাবাজি করে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/রামিজ আহসান/মেহেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here