মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের ইতিহাসের সাথে সঙ্গতি রেখে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরকে এমনভাবে সাজানো হবে যাতে সারা দেশবাসী একবার এখানে আসে। আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। আর এই সেই জায়গা যেখানে বাংলাদেশের প্রথম বৈধ সরকার শপথ গ্রহন করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। রোববার সকাল দশটায় মেহেরপুর মুজিবনগর কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথাগুলো বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, সংরক্ষিত-২৭ আসনের মহিলা এমপি রুবি রহমান সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। কমিটির সদস্যবৃন্দ মুজিবনগর কমপ্লেক্স বাংলাদের মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ভাস্কর্য সহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবং এবি তাজুল ইসলাম মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন।

তিনি আরও বলেন, মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যে ভাস্কর্যগুলো আছে সেগুলোকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদলে সাজানো হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চের যে ভাষন দেন সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ছিল। সে ভাষন থেকে দেশের জনগনের মাঝে দেশকে স্বাধিন করার প্রেরণা জেগে উঠেছিল। অথচ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাস্কর্য আছে সেটি অস্পূর্ন। সেটি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বহন করেনা।

সূতারং এখানে ৭ মার্চের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হলে এটির পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে শুরু করে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে মুক্তিযুদ্ধ বিষায়ক যে ভাস্কর্যগুলো মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করছে সেগুলোকে অপসারণ করে করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। মুজিবনগরকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন এ সরকারের আমলে তা সম্পর্ণ করা হবে।  যাতে পরবর্তী প্রজন্ম মুজিবনগর কমপ্লেক্সে বেড়াতে এসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। দুপুর সাড়ে এগারটায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/রামিজ আহসান/মেহেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here